বিমা-জ্বালানি খাতের দাপটে পতন থেকে রক্ষা
টেলিযোগাযোগ, বিমা এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়াকে কেন্দ্র করে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে।
দিনের শুরুতে বস্ত্র, প্রকৌশল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারের দাম বাড়লেও শেষ ঘণ্টায় এসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে দাম কমেছে। পক্ষান্তরে দিনের শুরুতে ব্যাংক খাতের সব শেয়ারের দাম কমলেও শেষভাগে মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে।
ফলে দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ২০ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৭৫ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও। এর ফলে সপ্তাহের প্রথম দুদিন রোব ও সোমবার সূচকের উত্থান হলো। তবে তার আগের সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস বুধ ও বৃহস্পতিবার দরপতন হয়েছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সোমবার গ্রামীণফোন, রবি, রেনেটা, ইউনিলিভার, বার্জার পেইন্টস এবং ইউনিলিভারসহ বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। দেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ৫১টি কোম্পানির মধ্যে ৪১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ৯টির দাম। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে একটির দাম। এছাড়া ব্যাংক খাতের ৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭টির।
সব মিলিয়ে ডিএসইতে মোট ৩৮৩টির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সোমবার লেনদেন হয়েছে ৩৭৬টির প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে ১৬৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। তাতে মোট ৮৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৩ হাজার ৩৭৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। হাত বদল হওয়া শেয়ার থেকে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৭৪ কোটি ৮১ লাখ ১ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭০৬ কোটি ৩১লাখ ৮১ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার পরও বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২০ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৮৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাওয়ার গ্রিড। এরপর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল আইএফআইসি ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফরচুন সুজ, রিংশাইন, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক এবং সামিট পাওয়ার লিমিটেড।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৯৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৪টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ১৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ৩৭ লাখ ৯ হাজার ৫৮১ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০০ কোটি ৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৬০ টাকা।
এমআই/জেডএস