বিটকয়েনসহ সব ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র লেনদেন অবৈধ
ভার্চুয়াল মুদ্রা ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’র মালিকানা, সংরক্ষণ বা লেনদেন অবৈধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়াতে বিটকয়েনসহ ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন বা সহায়তা প্রদান এবং এর প্রচার থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া এক ধরনের মুদ্রা। বর্তমানে আট হাজারের বেশি এ ধরনের মুদ্রা রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিটকয়েন। এছাড়া ইথেরিয়াম, রিপল, লিটকয়েন ব্যবহার হচ্ছে বেশি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ‘সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পত্রের মাধ্যমে প্রেরিত মতামতের অংশবিশেষ কোনো কোনো গণমাধ্যমে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে যা কোনোক্রমেই সাধারণভাবে প্রচারযোগ্য নয়।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট থেকে জানা যায়, অনলাইনভিত্তিক ভার্চুয়াল মুদ্রার (বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, রিপল, লিটকয়) বিনিময় বা লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ দ্বারা ইস্যুকৃত বৈধ মুদ্রা নয়। তাই এর বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবিও স্বীকৃত নয়। এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয়। অনলাইনে নামবিহীন বা ছদ্মনামীয় প্রতিসঙ্গীর সঙ্গে ভার্চুয়াল মুদ্রায় এসব লেনদেন মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।’
‘কোনো বৈধ সংস্থার স্বীকৃত না হওয়ায় গ্রাহকরা ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। এ অবস্থায়, আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়াতে বিটকয়েনের ন্যায় ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কোনো ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত নয়। সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে যে কোনো ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম, রিপল ইত্যাদি) লেনদেন অথবা এরূপ কার্যে সহায়তা প্রদান ও এ সংক্রান্ত প্রচারণা হতে বিরত থাকতে সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় নির্দেশ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
এসআই/এসকেডি/জেএস