বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেল পুঁজিবাজার
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার (১২জুলাই) আর্থিক প্রতিষ্ঠান, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের শেয়ার দাম বাড়াকে কেন্দ্র করে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে সোমবার ব্যাংক-বিমা, বস্ত্র খাতের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ার কেনার চেয়ে বেশি বিক্রির অর্ডার বেশি ছিল। ফলে এসব খাতের প্রায় সব শেয়ারের দাম কমেছে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, খাদ্য এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে।
দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। তবে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট।
এদিন ডিএসইতে সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও বেড়েছে লেনদেন। অন্যদিকে সিএসইতে সূচক বাড়লেও কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারে দাম ও লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির। তার বিপরীতে ব্যাংক খাতের ৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম কমেছে ২১টির।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ২২টির। তার বিপরীতে দাম বিমা খাতের ৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম কমেছে ৪৭টির। এছাড়াও খাদ্য খাতের ২০টির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের। তার বিপরীতে বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের দাম কমেছে।
এছাড়াও মিশ্রপ্রবণতায় বস্ত্র খাতের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এ খাতের ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ২৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবার ডিএসইতে মোট ৩৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৯টির, কমেছে ১৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৯৯ কোটি২১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।
বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বাড়ায় এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর লেনদেন হয়েছে পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার। ক্রমান্বয়ে রয়েছে বিডি ফাইন্যান্স, সোনালী লাইফ, লাফার্জহোলসিম, কাট্টালী টেক্সটাইল, বেক্সিমকো ফার্মা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স এবং কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।
ডিএসইতে সূচক কমলেও অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির শেয়ারের দাম। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৮২লাখ ৭০ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৪ কোটি ৫ লাখ ৮০৯ হাজার টাকা।
এমআই/এসএম