পেঁয়াজে মনোযোগ, সুযোগে অস্থির ভোজ্যতেলের বাজার
ভোজ্যতেলের দামে কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। গত এক মাসে কয়েকদফা দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকাররা দাম বাড়িয়েছেন বলেই তাদের চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কবে নাগাদ ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে এ নিয়ে কিছুই বলতে পারছে না ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
সংস্থাটির চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ও তথ্য কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবি ট্রাকে ৮০ টাকা লিটারে তেল বিক্রি করছে। পেঁয়াজে গুরুত্ব দেওয়ায় তেল নিয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই।
রোববার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা যায়, সয়াবিন তেলের দুই লিটার বোতলের দাম ২০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৩৫-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বোতলপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। আর পাম ওয়েলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা।
রাজধানীর উত্তরা এলাকার জহুরা মার্কেটের বিক্রয়কর্মী মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দফায় দাম বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের।
সিরাজগঞ্জ জেনারেল স্টোরের এক বিক্রয়কর্মী জানান, ডিসেম্বরের প্রথমে এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হতো ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়।
পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল কিনে মেসে ফিরছিলেন শিক্ষার্থী হৃদয় রহমান। তিনি জানান, অনেক আগ থেকেই তেলের দাম বাড়ছে। কিন্তু গত কয়েকদিনে অনেক বেশি দাম নিচ্ছেন দোকানিরা। শিক্ষার্থীরা বেশ বিপদের মধ্যে আছি। প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও পরিবারের আয় বাড়ে নি। তাহলে এখন আমরা কীভাবে এতো বেশি টাকা দিয়ে পণ্য কিনে খাব?
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী বাণিজ্য পরামর্শক (দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেল) শ্যামা পদ বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, তেলের বাজার নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে । দাম বাড়ার বিষয়ে খোঁজ নিতে একটি টিম কাজ করছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টা পরিষ্কার হবে।
একে/এসআরএস