গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের মামলা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
অপরাধ সংঘটনে সহায়তায় দেশীয় পাখি সংক্রান্ত অপরাধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর ৩৮ (২), ৪১ এবং ৪৬ ধারা গ্রামীণফোন লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক নার্গিস সুলতানা।
গত ৩০ জুন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকা মগনগর। মামলা নম্বর ০৩/ডব্লিউ সিসিইউ অব ২০২০-২১।
মামলার সাক্ষী হয়েছেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসিম মল্লিক, আব্দুল্লাহ আল সাদিক এবং ফরেস্টার হাবিবুর রহমান।
গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ লঙ্ঘন করে বিজ্ঞাপন তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে অনেক প্রাণিপ্রেমীকে।
গ্রামীণফোনের প্রচার করা বিজ্ঞাপনটিতে দেখা যায়, এক বাবা তার শিশু মেয়ের জন্য খাঁচায় আটকানো একটি টিয়া পাখি নিয়ে আসেন। পাখিটির সঙ্গে প্রথমে বাসার পালিত কুকুরের বৈরি সম্পর্ক তৈরি হলেও শেষ পর্যায়ে মেয়েটি প্রাণি দু'টির মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে দেয়। দু'টি প্রাণির সঙ্গে মেয়েটির কথা বলাকে উদাহরণ করে প্রতি সেকেন্ড ১ পয়সায় কথা বলার অফার প্রচার করে তারা।
এ বিজ্ঞাপনের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাণিপ্রেমীরা অভিযোগ করছেন, গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনে আইন লঙ্ঘন করে টিয়া পাখিকে আটকে রাখা হয়েছিল; যা বিজ্ঞাপনটি প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আইন অমান্য করে বন্যপ্রাণী শিকার বা আটকে রাখায় উৎসাহ দিচ্ছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২-এর ৩৮ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি তফসিলভুক্ত পাখি বা পরিযায়ী কোনো পাখির ট্রফি বা অসম্পূর্ণ ট্রফি, মাংস, দেহের অংশ সংগ্রহ করলে, দখলে রাখলে বা ক্রয় বা বিক্রয় করলে বা পরিবহন করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের জন্য কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধানও উল্লেখ করা আছে আইনটিতে। ঘটনাটি বনবিভাগের নজরে আসে। এরপর বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট আদালতে মামলা করে।
এমআই/এসএম