এটিএম বুথ থেকে তোলা যাবে দ্বিগুণ টাকা
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত মানুষের সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। এ অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং ও পরিশোধ সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গ্রাহকদের সুবিধার্থে এটিএম বুথ থেকে টাকার তোলার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়েছে। কঠোর লকডাউন চলাকালে বুথ থেকে একজন গ্রাহক দিনে এক লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
বুধবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংক, এমএফএস ও সব ধরনের আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ পরিস্থিতিতে সেবা চালু রাখার জন্য জরুরি পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে। সরকার ঘোষিত সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপকালীন সময়ে ব্যাংক, পিএসপি, পিএসও এবং এমএফএস জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট প্রোভাইডাররা স্ব স্ব সিস্টেম, ডিস্ট্রিবিউশন ও এজেন্ট চ্যানেল নিরবচ্ছিন্ন ও সচল রাখবে।
গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের জন্য ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার, এটিএম, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট পয়েন্ট এবং মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতাদের (এমএফএস) এজেন্ট পয়েন্টসমূহে নগদ অর্থ ও ই-মানি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সরবরাহের সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে নিশ্চিত করবে এবং লেনদেনের স্থানসমূহ অর্থাৎ ব্যাংক, এটিএম, পজ ও এজেন্ট পয়েন্টসমূহ নিয়মিতভাবে জীবাণুমুক্ত ও তদস্থলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ব্যাংকগুলো তাদের এটিএমে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমার ন্যূনতম পরিমাণ হবে ১ লাখ টাকা এবং অন-আস গেজ অব আস উভয়ক্ষেত্রেই টাকা উত্তোলনের একক লেনদেনের ন্যূনতম পরিমাণ একই হবে। ২৪ ঘণ্টা গ্রাহক লেনদেন সুবিধার লক্ষ্যে অনলাইন ব্যাংকিং লেনদেন সেবাদানকারী ব্যাংকগুলো এ সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখবে।
চলাচলে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময় জনসাধারণকে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে লেনদেনে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এনপিএসবির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার (আইবিএফটি) লেনদেনের নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ এ সময়ে ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা তিন লাখ এবং দৈনিক সর্বোচ্চ ১০ বারে মোট ১০ লাখ টাকা লেনদেন করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা পাঁচ লাখ এবং দৈনিক সর্বোচ্চ ২০ বারে মোট ২৫ লাখ টাকা লেনদেন করতে পারবে।
এসআই/এসকেডি