রাজস্থানের ছোট এক শহর থেকে বিশ্বের ৮০ দেশে হলদিরাম
ভারতের নামকরা স্ন্যাক্স ও মিষ্টির দোকানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলদিরাম। আলুর ভুজিয়া, মিষ্টি, ফ্রোজেন খাবার, নামকিন খাবার, কুকিজ, শরবত, মিনিট খানা (মাইক্রোওয়েভ খাবার), পাঁপড়, পানি পুরি, ভেল পুরি, চিপস, শুকনো খাবার, গুজরাটি খাবার, সাউথ-ইন্ডিয়ান খাবার, নিম্বু মাসালাসহ আরও অনেক খাবারের সমারোহ ৭৯ বছরের পুরনো এই প্রতিষ্ঠানে।
হলদিরামের ইতিহাস বহু পুরনো। ১৯৩৭ সালে ছোট্ট একটি দোকান দিয়ে রাজস্থানের বিকানের-এ ব্যবসা শুরু করেন গঙ্গা ভীশেন আগারওয়াল। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বিকানের একজন ভুজিয়াওয়ালা নামে খ্যাতি লাভ করেন। এরপরই দোকানটির নাম রাখা হয় হলদিরাম। আসলে এই ‘হলদিরাম’ নামটি তারই আরেক নাম। বিকান জুড়ে হলদিরাম আলুর ভুজিয়াসহ নানান ধরনের খাবারের ব্যবসা শুরু করেন।
এরপরই তার প্রতিষ্ঠানটি সারাদেশে আলোচিত হতে শুরু করে। ব্যবসার প্রসারের জন্য হলদিরাম দিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শাখা স্থাপন করে। এভাবেই হলদিরাম বিকানের থেকে দিল্লিতে গিয়েছিল, যা কয়েক বছর পরে আমেরিকাতেও পৌঁছায়।
হলদিরাম সংস্থা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় প্রথম উৎপাদন শুরু করে। এরপর ১৯৭০ সালে জয়পুরে এবং ১৯৮২ সালে ভারতের রাজধানীতে হলদিরাম তার পণ্য বিক্রি করা শুরু করে। এভাবে মাত্র কয়েক বছর পরই ২০০৩ সালে হলদিরাম তার পণ্য আমেরিকাতেও রফতানি শুরু করে।
বর্তমানে হলদিরামে ১০০টিরও বেশি পণ্য উৎপাদন করা হয়, যা বিশ্বজুড়ে ৮০টিরও বেশি দেশে রফতানি করা হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে উত্তর ভারতে হলদিরামের মোট উপার্জন ছিল ২১ কোটি টাকা।
এছাড়া পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে হলদিরামের পণ্যগুলোর বার্ষিক বিক্রি ছিল ১২২৫ কোটি টাকা এবং পূর্ব ভারতে হলদিরামের মোট লাভ ছিল ২১০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে হলদিরামের মোট আয় ছিল ৭ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।
হলদিরাম তার পণ্য তৈরির জন্য বছরে ৩.৮ বিলিয়ন লিটার দুধ, ৮০ বিলিয়ন কেজি মাখন, ৬২ মিলিয়ন কেজি আলু, ৬০ মিলিয়ন কেজি দেশি ঘি কিনতেন। হলদিরাম গ্রাহকদের খুব কম দামে ভালো মানের খাবার সরবরাহ করতেন।
এমএইচএস