জনতা ব্যাংকের ১১৬ কোটি টাকা লুট, আসামি ৫ শীর্ষ কর্তা

ঋণের প্রায় ১১৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এননটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জালাল উদ্দিনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক এ.এম. তাহের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১১৫ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার ৫৮ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
মামলার বাকী চার আসামি হলেন- মেসার্স সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালক আব্দুল্লাহ সিদ্দিক, জনতা ব্যাংকের সাবেক এসইও মোহাম্মদ শামীম হোসেন, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক আব্দুর রশীদ ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মাহফুজুর রহমান।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যবসার পুঁজি না থাকা সত্ত্বেও কোনো যাচাই–বাচাই না করে জনতা ব্যাংক মেসার্স সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং লিমিটেড ঋণ দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং নামীয় প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের আর্থিক সংগতি না থাকা সত্ত্বেও মর্টগেজকৃত জমির অতিমূল্যায়নসহ মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে ঋণ অনুমোদন এবং বিতরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। ঋণ হিসাবে জনতা ব্যাংক জনতা ভবন কর্পোরেট শাখা থেকে ১১৫ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। যা আত্মসাত করে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে। বর্তমানে ওই ঋণের টাকা ২৩৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, জনতা ব্যাংকের সবচেয়ে বড় গ্রাহক অ্যাননটেক্স গ্রুপ। জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রুপটির নেওয়া প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি। এ জন্য ব্যাংকটি পড়েছে বিপদে। এ অবস্থায় এই ঋণের দায়দায়িত্ব নির্ধারণে গ্রুপটির ঋণের ওপর পরিপূর্ণ নিরীক্ষা (ফাংশনাল অডিট) করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আড়াই বছরেও নিরীক্ষা শেষ করতে পারেনি জনতা ব্যাংক। এখন গ্রুপটির ২২ প্রতিষ্ঠানের কোনোটির যাতে মালিকানা ও শেয়ারের পরিবর্তন না হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরএম/এমজে