স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ

স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়ে নতুন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে স্টার্টআপরা বিদেশে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমতূল্য বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারবে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশি নাগরিক বা স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭-এর অধীনে আবেদন করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার পাঠাতে পারবে। তবে আবেদনকারীদের উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করতে হবে; যা পরে দেশে বিনিয়োগ ও রপ্তানি আয় বাড়াতে সহায়ক হবে।
বিজ্ঞাপন
শেয়ার সোয়াপের সুবিধা
ছোট আকারের বিনিয়োগের পাশাপাশি, বাংলাদেশ ব্যাংক নিবাসী কোম্পানিগুলোকে তাদের নিজস্ব শেয়ার বা সিকিউরিটিজের সঙ্গে বিদেশি কোম্পানির শেয়ার সোয়াপের মাধ্যমে বিদেশে বিনিয়োগ সুযোগ দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অর্থাৎ দেশীয় কোম্পানিগুলো নিজেদের শেয়ার বা সিকিউরিটিজের বিনিময়ে বিদেশি কোম্পানির শেয়ার অর্জন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে নগদ অর্থ পাঠানোর প্রয়োজন হবে না। এছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাবনা বিবেচনায় ক্ষেত্রে শেয়ার বা সিকিউরিটিজের সোয়াপ অনুপাত আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, এটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মূলধনী লেনদেন উন্মুক্ত করার প্রথম পদক্ষেপ। এতে করে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির মাধ্যমে দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ বাড়বে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, নতুন বিধিব্যবস্থা বিদেশে স্থাপিত কোম্পানির মাধ্যমে দেশে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। যা বিদেশে বিনিয়োগ বাবদ পাঠানো অর্থের তুলনায় বেশি হবে। এছাড়া স্টার্টআপগুলোর বৈশ্বিক সম্প্রসারণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্টার্টআপ কোম্পানি কি?
স্টার্টআপ কোম্পানি হলো একটি নতুন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যা সাধারণত উদ্ভাবনী ধারণা, প্রযুক্তি বা সেবা নিয়ে কাজ শুরু করে এবং দ্রুত বৃদ্ধির লক্ষ্য রাখে। এ ধরনের কোম্পানিগুলো সাধারণত ছোট আকারে শুরু হয়, কিন্তু উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে বাজার দখলের চেষ্টা করে।
এসআই/জেডএস