বনানীতে ইফতার ও সেহরি ফেস্ট, জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টের জমজমাট আয়োজন

প্রথমবারের মতো বনানীতে আয়োজন করা হয়েছে ফুডি ইফতার ও সেহরি ফেস্ট-২০২৫। ফুড ডেলিভারি অ্যাপ ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেড এই ব্যতিক্রমী ফেস্টের আয়োজন করেছে, যেখানে ঢাকার ৩০টিরও বেশি নামিদামি রেস্টুরেন্ট অংশ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) শুরু হওয়া এ ফেস্ট চলবে ২৯ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত পর্যন্ত বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর মাঠে বসছে এই জমজমাট আয়োজন।
এ বিষয়ে ফুডি এক্সপ্রেস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. শাহনেওয়াজ মান্নান জানান, রমজান মাসে গুলশান-বনানীর বাসিন্দারা যেন নামিদামি রেস্টুরেন্টের খাবার সহজেই পেতে পারেন, তাই আমরা এ আয়োজন করেছি। অনেকে পুরান ঢাকা বা মোহাম্মদপুরের বিখ্যাত খাবার আনতে যানজটে পড়েন, সে সমস্যার সমাধান দিতেই আমরা ঢাকার বাছাই করা রেস্টুরেন্টগুলোকে এক ছাতার নিচে এনেছি।
ফেস্টে ক্রেতারা তিন ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমত ক্রেতারা ফেস্টে এসে ইফতার ও সেহরির জন্য পছন্দের খাবার কিনে নিয়ে যেতে পারবেন। দ্বিতীয়ত ক্রেতারা ইভেন্টে বসেই খাবার উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া ফুডি অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করলে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
ফুডি অ্যাপে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ অফার রয়েছে জানিয়ে মো. শাহনেওয়াজ মান্নান বলেন, যারা ইভেন্টে এসে অ্যাপটি ডাউনলোড করবেন, তারা প্রথম দুটি অর্ডারে ১৫০ টাকা করে ছাড় পাবেন। এই ফেস্টে অংশ নেওয়া রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে পুরান ঢাকার বিখ্যাত রেস্টুরেন্টগুলো ও ঢাকার অন্য জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট। এ ছাড়া ক্যাপ্টেন্স ওয়ার্ল্ডসহ অনেক নামিদামি রেস্টুরেন্ট অংশগ্রহণ করেছে।
ফুডির সিওও বলেন, আমরা বাছাই করা রেস্টুরেন্টগুলোকে সুযোগ দিয়েছি যারা খাবারের গুণগত মান বজায় রাখে।
আরও পড়ুন
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেলে ফেস্টে ভিড় জমাতে শুরু করেন ক্রেতারা। জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টগুলোর স্টল থেকে তারা পছন্দের ইফতার কিনছেন। কাবাব, বিরিয়ানি, হালিম, ফালুদা, লাচ্ছিসহ বিভিন্ন খাবারের স্টলে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।
ফেস্টে আসা ক্রেতা ফারহান খান বলেন, পুরান ঢাকার বিখ্যাত খাবার কিনতে এত দূর যেতে হয়, কিন্তু এখানে এক জায়গায় সব পাচ্ছি– এটা সত্যিই দারুণ। যানজটের ঝামেলা এড়িয়ে পছন্দের খাবার কিনতে পারছি, এজন্য ফুডিকে ধন্যবাদ।
আরেকজন ক্রেতা সুমাইয়া বলেন, আমি বনানীতেই থাকি। কিন্তু পুরান ঢাকার খাবার খেতে হলে অনেক দূর যেতে হয়। এখানে এক জায়গায় সব পেয়ে যাচ্ছি, তাই খুব ভালো লাগছে।
শুধু ইফতার নয়, সেহরিতেও এখানে পাওয়া যাবে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত পর্যন্ত ফেস্ট চলবে। যেখানে ক্রেতারা তাদের পছন্দের খাবার কিনতে পারবেন।
ফুডির ইফতার ও সেহরি ফেস্ট নিয়ে ঢাকার ভোজন প্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। তাদের অনেকের আশা, এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও চালু থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এ ফেস্টে বিশেষ আয়োজন হিসেবে আগামী ২৬ মার্চ থেকে থাকবে স্পেশাল মেহেদি ফেস্টিভ্যাল।
এমএসি/এসএসএইচ