শেয়ার বিক্রির চাপে পুঁজিবাজারে দরপতন
শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির প্রবণতা বেশি থাকায় সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৩১) দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। এদিন ব্যাংক-বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারে দাম কমেছে।
আর তাতে টানা চার কার্যদিবস পর দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১০ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও।
বাজার সংশ্লিষ্টরা এই পরিস্থিতিকে মূল্য সংশোধন বলে মনে করেন। তারা বলেন, টানা চারদিন পর পুঁজিবাজারে প্রফিট টেকিং হয়েছে। আর উত্থানের পর পতন এটা পুঁজিবাজারে প্রকৃত চিত্র।
ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবার বাজারে মোট ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৪টি শেয়ারের।
তাতে আগের দিনের তুলনায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে হাজার ২০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৭৩২ কোটি ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৪৯ কোটি ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪শ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর বেশি লেনদেন হয়েছে কনফিডেন্স সিমেন্টের শেয়ারের। ক্রমান্বয়ে রয়েছে লাফার্জহোলসিম, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইফাদ অটোস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, নর্দান ইন্স্যুরেন্স, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স এবং গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়েছে ৯১টির, কমেছে ১৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির শেয়ার দাম।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৫১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০৯ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
এমআই/জেডএস