ঋণ কেলেঙ্কারি : দুদকের আসামি মার্কেন্টাইলের সাবেক ৩ এমডিসহ ২৭
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ প্রস্তাব ও ভুয়া মর্টগেজের তথ্য দিয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখা থেকে মোট ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক তিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পাঁচ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৬ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সোমবার (৭ জানুয়ারি) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আসামিরা হলেন- মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান মুজিবুর রহমান, মো. এহসানুল হক ও এ কে এম শহিদুল হক, সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জলিল চৌধুরী, মোহাম্মদ মাসুম, গাউস উল ওয়ারা মো. মোর্তজা, মু. মাহমুদ আলম চৌধুরী ও মতিউল হাসান, সাবেক ক্রেডিট ইনচার্জ ও ম্যানেজার অপারেশন প্রতাপ কুমার দেশমুখ্য, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ লুৎফল হক প্রবাল, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আবদুস সালাম, ফয়সাল আহসান চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চৌধুরী মোস্তাক আহমেদ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও মো. রবিউল ইসলাম, সাবেক ফার্স্ট এভিপি শামীম আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নজরুল হোসেন, এফএভিপি এ এস এম কামাল হোসেন, সাইফুদ্দিন ভূঁঞা সোয়েব, সাবেক ভিপি মইনুল ইসলাম ও মো. শাফায়েত ওয়াহেদ, সাবেক এসভিপি মো. ফারুক আহমেদ, মো. অলিউল্লাহ ও মো. জামাল হোসেন, সাবেক এসইভিপি নন্দ দুলাল ভট্টাচার্য্য, সাবেক এভিপি জাহিদুল আলম চৌধুরী এবং ঋণ গ্রহীতা আখতার হোসেন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণ প্রস্তাব, ইসি মেমো ও ঋণ মঞ্জুরিপত্রে ভুয়াভাবে মর্টগেজের তথ্য দিয়েছেন এবং ঋণ বিতরণের সময় কোনো বন্ধকি দলিল ও আমমোক্তার দলিল সম্পাদন না করে মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখা থেকে মোট ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ প্রস্তাব করেছে। পরবর্তী সময়ে তা পরিচালনা পর্ষদ থেকে অনুমোদন করিয়ে ঋণ মঞ্জুরিপত্র ইস্যু এবং ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ঋণ বিতরণের পর একবার পুন: তফসিলিকরণও হয়েছে। পরে ব্যাংকিং বিধি বহির্ভূত সুবিধা নিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরএম/এসএম