অর্থ বছরে প্রথমার্ধে রপ্তানির আয় বেড়েছে ১২.৮৪ শতাংশ
চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথমার্ধে দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২.৮৪ শতাংশ। এতে এক বছর আগের একই সময়ের রপ্তানি আয় ২১.৭৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২৪.৫৩ বিলিয়ন ডলারে।
বৃহষ্পতিবার বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান অনুসারে, গত অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসের রপ্তানি আয় ৩.৯৩ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১৭.৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৩ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানিতে সবচেয়ে বড় অবদানকারী পোশাক খাত, জুলাই-ডিসেম্বরে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড ১৩.২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৯.৮৯ বিলিয়ন ডলার।গত বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ১৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। আর ডিসেম্বর মাসে পোশাক খাতের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছর এই আয় ছিল ৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করে ১৫৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের ১২২ মিলিয়নের তুলনায় ২৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ১১৪ দশমিক ৪২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কৃত্রিম চামড়ার পাদুকা থেকে রপ্তানি আয় উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে, যা ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এই উদীয়মান খাত আয় করেছে ২৭৪ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৯৭ মিলিয়ন ডলার।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের নীতিগত সহায়তা, বৈশ্বিক বাজারে চাহিদার বৃদ্ধি এবং পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি খাতের শক্তিশালী অবস্থান এই প্রবৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হলে প্রবৃদ্ধি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান জানান, বৈশ্বিক বাজারে ক্রিসমাস ডে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে, নিউ ইয়ারে পোশাকপণ্যের চাহিদা বাড়ে। ফলে এ সময়ে বেশি পণ্যের জাহাজীকরণ হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে রপ্তানি বাড়ে। তবে আশার কথা হলো এ বছর কাজের আদেশ বেশি আছে। আমাদের এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যার জন্য দরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি।
আরএইচটি/এসএম