এসআইবিএল’র চাকরিচ্যুত আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) প্রধান কার্যালয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনরতরা ব্যাংকটির প্রধান শাখায় হট্টগোল করছে এমন অভিযোগে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে ব্যাংকটির প্রধান শাখা থেকে আন্দোলনরতদের সরিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হোসাইন মোহাম্মদ ফারাদি।
তিনি বলেন, ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা প্রধান শাখায় হট্টগোল করছিল। পরে আমরা আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের ব্যাংকটির প্রধান শাখা থেকে সরানো হয়েছে। বর্তমানে আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা আর কেউই ব্যাংকের প্রধান শাখাতে নাই। ব্যাংকটির প্রধান শাখায় চাকরিচ্যুত প্রায় ১০০ থেকে ১২০ জন কর্মকর্তা হট্টগোল করছিলেন।
আরও পড়ুন
এর আগে আন্দোলনরতরা আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি, বিনা কারণে এবং বিনা নোটিশে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাংকের সার্ভিস রুলস মোতাবেক এবং নিয়োগপত্রের ধারা ১০ অনুযায়ী অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
ব্যাংকটি বলছে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এস আলম গ্রুপের অবৈধ নিয়োগ দেওয়া ৫৭৯ জন কর্মকর্তাকে গত ২৯ অক্টোবর চাকরিচ্যুত করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকের সার্ভিস রুলস মোতাবেক এবং নিয়োগ পত্রের ধারা ১০ অনুযায়ী শিক্ষানবিশ সময়কালে ব্যাংক যে কোনো সময় বিনা নোটিশে যেকোনো কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার অধিকার রাখে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এসব অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
পরবর্তী সময়ে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে শুনানির আয়োজন করা হয়। শুনানি পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরি পুনর্বহাল সম্ভব নয় উল্লেখ করে পত্র দেয়। এই চিঠি পাওয়ার পর গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে এবং লাগাতার ব্যাংকের সামনে অবস্থান করছে। যার ফলে ব্যাংকের গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং সাধারণ জনগণের স্বাভাবিক চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এমএসি/এসএম