কারওয়ান বাজারে সবজির দাম বাড়াচ্ছে ১২০০ ফড়িয়া ব্যবসায়ী
কারওয়ান বাজারের ট্রাক থেকে সবজি নামানোর পর ৬-৭ বার হাতবদল হয়। প্রত্যেকবার হাতবদলে বাড়ানো হচ্ছে দাম। এর সঙ্গে জড়িত ১২০০ ফড়িয়া ব্যবসায়ী। যাদের কোনো লাইসেন্স নেই। তারা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের কোনো রশিদ দেয় না। এই সুযোগে আড়তদারদের যোগসাজশে পাইকারি, বেপারী, খুচরা ব্যবসায়ী সবাই মিলেমিশে বাড়াচ্ছে পণ্যের দাম।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযানে এমন তথ্য উঠে আসে। অভিযান পরিচালনা করে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সবজি, ডিম, ব্রয়লার মুরগি, আলু, ডাল, পিঁয়াজ, রসুন, আদা ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও বনানী কাঁচাবাজারে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালামের নেতৃত্বে একটি টিম।
অভিযানে দেখা যায়, কারওয়ান বাজারে সবজির ট্রাক রাত ১২টায় আসে এবং ট্রাক থেকে ৬ থেকে ৭ বার হাতবদল হয়ে পাইকারি পর্যায়ে পৌঁছায়। সেখানে অবৈধ ফড়িয়া ব্যবসায়ী আছে প্রায় ১২০০ জন, যাদের কোনো লাইসেন্স, রশিদ বই এবং স্টক রেজিস্টার নেই।
অভিযানে উঠে আসে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে আড়তদারদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এবং আড়তদারদের যোগসাজশে পাইকারি, বেপারী, খুচরা ব্যবসায়ী সবাই একত্রে দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে।
পরে বনানী কাঁচা বাজারে দেখা যায়, উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে দোকান বরাদ্দ প্রাপ্তরা নিজে ব্যবসা না করে বরাদ্দপ্রাপ্ত পজিশন ভাড়া দিচ্ছে ২৫ হাজার থেকে ৩৬ হাজার টাকার। বিনিময়ে যা খুচরা বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব অপরাধ ৮ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া এদিন সারা দেশের ৩৬ জেলায় অধিদপ্তরের ৪২টি টিমের পরিচালিত অভিযানে ৮৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসআই/জেডএস