গ্রাহক কম, ব্যাংকের অনেক শাখা বন্ধ
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ রোববার (৪ আগস্ট) সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ সফল করতে মাঠে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন স্থানে চলছে সংঘর্ষও।
এদিকে অসহযোগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ব্যাংক পাড়া নামে পরিচিত মতিঝিলে এলাকায় মানুষের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম দেখা গেছে। লেনদেনের পাশাপাশি ব্যাংকের শাখাগুলোতে কমেছে গ্রাহকের উপস্থিতি। নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু কিছু ব্যাংকের শাখা বন্ধ রাখা হয়েছে। আবার যেসব শাখা খোলা আছে তাদের মেইন গেট বন্ধ রাখতে দেখা গেছে।
রোববার (৪ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল, গুলিস্তান এলাকা সরজমিন এমন চিত্র দেখা গেছে। মতিঝিলের শাপলা চত্বরের পাশেই অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিস। কিন্তু আজ ব্যাংকের প্রধান দরজা বন্ধ রাখতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন
সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে প্রধান দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু অপর পাশে একটি ছোট দরজা আছে সে দিক দিয়ে গ্রাহক আসা-যাওয়া করতে পারছেন। ছাত্র আন্দোলনের কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় গ্রাহক সংখ্যার উপস্থিতি অনেক কম। এ কারণে লেনদেনের পরিমাণও কমে গেছে শাখায়। তাছাড়া শাখার নিরাপত্তার জন্য আমাদের নিয়োগ করা নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পার্শ্ববর্তী থানাতেও অবহিত করে রেখেছি।
এদিকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময়ে শাখা পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। মাহিদুল ইসলাম নামের একজন ব্যবসায়ী শাখাটিতে এসে অনেকক্ষণ থেকে ঘোরাঘুরি করছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সম্পন্ন করতে পারেননি।
তিনি জানান, কোন নোটিশ ছাড়াই এভাবে শাখা বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি। অন্যান্য ব্যাংকের মতো একটি বিকল্প দরোজা রাখলেও পারত। কিন্তু এই শাখাটি পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলোন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার দরজার আংশিক, দিলকুশার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংকের প্রধান দরজা বন্ধ দেখা গেছে আজ। বক চত্বরে অবস্থিত সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চের কাউন্টারগুলো ছিল জনশূন্য। মাঝেমধ্যে দুই একজন গ্রাহক আসছেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে খুব দ্রুত চলে যাচ্ছেন।
ব্যাংক এশিয়ার মতিঝিল শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, মাঝে মাঝে আশেপাশে মিছিলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে কখনো শাটার বন্ধ রাখছি আবার কখনো খুলছি। আমার কাছে শাখার নিরাপত্তা সবার আগে। গ্রাহকরা যাতে নির্বিঘ্নে লেনদেন করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও রেখেছি আমরা। বিকল্প গেটও আছে প্রধান গেটও খুলে দিচ্ছি মাঝে মাঝে।
এসআই/এসকেডি