মিয়ানমার থেকে আদা-মরিচ আমদানির চেষ্টা করছি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বাজারে কোনো পণ্যের যেন ঘাটতি না থাকে সেজন্য আমরা কাজ করছি। মিয়ানমার থেকে আদা-মরিচ আমদানির চেষ্টা করছি। ১২ মাসে ভোক্তার কোনো পণ্যের যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, সেই চেষ্টা করছি।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি : প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডলারের দাম বাড়লেও তেলের দাম আমরা স্থিতিশীল রেখেছি। ১২ মাস সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে চাই। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি সুবিধা পাচ্ছি।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, রিজার্ভ নিয়ে প্রতিদিন প্রশ্ন করা হয় তিন মাসের আছে, সেটা ৫ মাসের হলে ভালো হতো। রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারে এমনি এমনি আসেনি। কারণ, ১৪ বিলিয়ন ডলার সার ও জ্বালানি তেল আমদানিতে বাড়তি খরচ দিতে হয়েছে। দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে। সামনে আরও ভালো সময় আছে।
আরও পড়ুন
কৃষি অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদন খরচ কীভাবে কমানো যায় সেটা নিয়ে কৃষি গবেষকদের ভাবতে হবে। পচনশীল পণ্য কীভাবে কমানোর যায়, সেটি নিয়েও তাদের কাজ করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমার এলাকায় এখন তিন ফসল হয়। ধান উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সবার প্রচেষ্টায় কৃষিকে আমরা ফোকাস করছি। গত চার মাসে ১ কোটি পরিবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করেছি। স্থায়ী দোকানে চলতি মাসে সারা দেশে ১০ হাজার ডিলারকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দেব।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন মাসে কত প্রয়োজন, এটা নির্ণয় করতে হবে। দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, মানুষের পকেটে টাকা আছে। গ্রামে মাছ ও মাংস পাওয়া যেত না। পকেটে টাকা না থাকলে লাখ টাকা দিয়ে কোরবানি দিত না। আগে বড় বোয়াল সারাদিন বিক্রি হতো না, এখন তিনজন ক্রেতা দাঁড়িয়ে থাকে। গ্রামের মানুষের সক্ষমতা বেড়েছে।
এনএম/এসএসএইচ