বাজারে হরেক রকম লিচু, দামও চড়া
জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝিতে বাজারে এসেছে হরেক রকমের লিচু। রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বিভিন্ন জাতের লিচুতে ভরে গেছে ফলের বাজার। তবে লিচুর উৎপাদন যাই হোক না কেন, দামটা খুব চড়া বলেই মনেই করছেন ক্রেতারা। অপরদিকে ফলন কম এবং অতিরিক্ত দামে লিচু কিনে আনায় দাম একটু বেশি নিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শনিবার (১ জুন) রাজধানীর বাসাবোর টেম্পুস্টান্ডসহ আশেপাশের বিভিন্ন লিচুর দোকান ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা এলাকার লিচুসহ বোম্বাই লিচু, চায়না লিচু ও মোজাফফর জাতের লিচু পাওয়া যাচ্ছে। তবে স্বাদ ও মানভেদে দিনাজপুরের লিচু এবং বোম্বাই লিচুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। মানভেদে প্রতি ১০০ পিস লিচু কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন
ভরা মৌসুমে লিচুর চড়া দাম নিয়ে একদিকে যেমন ক্রেতারা অভিযোগ করছেন তেমনি দাম খুব একটা বেশি নয় বলে মনে করছেন বিক্রেতাদের কেউ কেউ। তবে প্রত্যাশার তুলনায় বিক্রি খুব একটা নেই বলেও জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
লিচু কিনতে আসা ইব্রাহিম খলিল নামের এক ক্রেতা বলেন, প্রতিটি জিনিসেই দাম। কিছুই কেনার উপায় নেই। আমরা পরিবারে ৬ জন মানুষ। ১০০ পিস লিচু নিলে তো এক বেলায় শেষ হবে। কিন্তু এই একবেলার লিচু কিনতে আমার একদিনের বেতন দিলেও হবেনা। এভাবে তো আর পেরে উঠছি না। সবকিছুই আগুনের মতো দাম। দেশীয় ফল এতদামে যদি কিনতে হয় তাহলে তো কি আর বলার!
আরেক ক্রেতা সুব্রত বালা বলেন, বাজারে এখন কয়েক জাতের লিচু পাওয়া যাচ্ছে। দু-একটা খেয়ে দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে বোম্বাই জাতের লিচুই ভালো। তবে দামটা একটু বেশি। লিচু তো আর আমদানি হয় না। লিচুর দাম কিছুটা কম হলে সব শ্রেণির লোক কিনতে পারতো। ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় তো আর সবাই লিচু কিনতে পারে না।
লিচু বিক্রেতা জমির উদ্দিন বলেন, এখন যশোর, নাটোর, রাজশাহী, দিনাজপুর এবং চুয়াডাঙ্গার লিচু বাজারে আছে। এখন ভরা মৌসুমে দাম আহামরি বেশি না। রাজশাহীর লিচুই মানভেদে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে এ বছর প্রচুর গরমে লিচুর ফলন খুব একটা ভালো না।
আলী আকবর নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, মৌসুমী ফল অনেকেই কিনছেন। সবাই অন্তত একবার স্বাদ নেবার জন্য হলেও লিচু কিনছে। তবে বিক্রি আমাদের চাহিদার তুলনায় কিছুটা কম। কারণ দাম একটু বাড়তি। অনেকেই এসে দেখে দাম জিজ্ঞাসা করে না কিনে চলে যাচ্ছে। আমরা বেশি দামে মাল কিনে আনায় কম দামেও বিক্রি করতে পারছি না।
এমএম/পিএইচ