লজিস্টিক নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নের দাবি ঢাকা চেম্বারের
লজিস্টিক নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে অর্থায়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)
সোমবার (২৭ মে) এক সংবাদ বিবৃতিতে ডিসিসিআই এ তথ্য জানিয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, বিগত এক দশকে ছয় শতাংশের বেশি হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশমান গতিধারা অব্যাহত রাখার বিষয়টি সারা পৃথিবীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা থাকা সত্ত্বেও ব্যবসা পরিচালন ব্যয় (কস্ট অব ডুইং বিজনেস) সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ নিচের দিকে। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে প্রায় ৬০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন প্রাক্কলন করেছে। যদিও অবকাঠামো এবং লজিস্টিক খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের জন্য এখনও উদ্বেগের বিষয়।
ডিসিসিআই বলছে, দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতি বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে একটি সমন্বিত, নিরবচ্ছিন্ন এবং টেকসই লজিস্টিক নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য। এমন বাস্তবতায় সরকার কর্তৃক লজিস্টিক নীতিমালাটি প্রণয়নের জন্য দেশের বেসরকারিখাতের অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন ডিসিসিআই সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, লজিস্টিক নীতিমালাটি প্রথমবারের মতো দেশের বেসরকারিখাতের প্রয়োজনের নিরিখে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকার প্রণয়ন করেছে। এ প্রেক্ষিতে বলা যায়, আমাদের বেসরকারিখাতের আশা-আকাঙ্ক্ষা, উদ্যোগ ও গবেষণার তথ্যাদি নীতিমালাটি প্রণয়নের প্রতিটি স্তরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রণীত লজিস্টিক নীতিমালাটি যদি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। সেই সঙ্গে দেশের অবকাঠামো খাতের প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হবে। লজিস্টিক অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করা হলে, প্রতিটি ডলার বিনিয়োগের বিপরীতে জিডিপিতে অবদান রাখবে বহুগুণ।
ঢাকা চেম্বার মনে করে, ২০৪১ সালে বাংলাদেশের উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে লজিস্টিক নীতিমালাটি সময়োপযোগী ও আবশ্যকীয় একটি উদ্যোগ। লজিস্টিক নীতিমালার বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রায় পিপিপি বাজেট প্রক্রিয়ার সমন্বয় করা প্রয়োজন। লজিস্টিক খাতের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোর বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারিখাতের সম্পৃক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি।
এছাড়াও, লজিস্টিক খাতে অর্থায়ন, বিশেষত অবকাঠামো খাতে দীর্ঘমেয়াদি ও ইক্যুয়িটি ফাইন্যান্সিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। বাজেট সহায়তা অথবা পেমেন্ট অ্যাসিউরেন্সের মাধ্যমে সরকার নিজেকে এ ধরনের খাতগুলো সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, নতুন নীতিমালায় সুনির্দিষ্ট ও টেকসই ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্সিং কর্মপন্থার অন্তর্ভুক্তি একান্ত অপরিহার্য, যা বেসরকারিখাতের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উপকৃত হবেন এবং সর্বোপরি আমাদের অর্থনীতি আরো বেগবান হবে।
আরএম/জেডএস