আমানতে মিলবে ১২.৫৫ শতাংশ, ঋণে দিতে হবে সাড়ে ১৫% সুদ
‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ রেট ধারাবাহিক বাড়ছে। ফলে ঋণের সুদহার সহনীয় পর্যায় মার্জিনের হার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু তারপরও ঋণ ও আমানতের সুদহার দুটোই বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এনবিএফআই) আমানত রাখলে সুদ মিলবে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ আর ঋণ নিলে গুনতে হবে ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ সুদ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
এখন যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ অর্থাৎ সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, আগস্টে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২০ শতাংশ, অক্টোবরে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, নভেম্বরে ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশে, জানুয়ারিতে ছিল ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সবশেষ মার্চে স্মার্ট রেট প্রায় এক শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে উঠেছে।
আরও পড়ুন
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে আমানতে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ এবং ঋণে ৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে এপ্রিল মাসে ঋণ ও আমানতে সুদহার নির্ধারণ করবে। ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্মার্টের সঙ্গে (বর্তমানে স্মার্ট ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ) সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে। আগে এই মার্জিন ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। ফলে নতুন হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদহার এর সর্বোচ্চ সীমা হবে ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আমানতের সুদহারের ক্ষেত্রে বর্তমান স্মার্ট—১০ দশমিক ৫৫ শতাংশের সঙ্গে মার্জিন যোগ হবে ২ শতাংশ। এতে করে আমানতের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
নতুন এই সার্কুলারে সুদহারের বিষয়টি ছাড়া অন্য কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সেই হিসেবে এর আগের প্রজ্ঞাপনের অন্যান্য শর্তাবলি অপরিবর্তিত থাকবে। আগের সার্কুলারে অনুসারে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয় ঋণে আরও ১ শতাংশ তদারকি মাশুল আদায় করতে পারবে।
তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো সুদ আরোপ করার পর ছয় মাসের মধ্যে তা পরিবর্তন করতে পারবে না। এর মধ্যে সুদহার বাড়লেও গ্রাহকের সুদ বাড়বে না। আবার সুদহার কমলেও গ্রাহকের সুদ কমবে না।
এসআই/এসএম