কোরবানির ঈদ পর্যন্ত নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের যে অবস্থাই হোক আমাদের আগামী দুই থেকে তিন মাস অর্থাৎ কোরবানির ঈদ পর্যন্ত পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। বিশেষ করে ভোজ্যতেল যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি করা হয়েছে বা সাপ্লাই চেইনে রয়েছে। চিনি নিয়েও আমাদের কোনো সমস্যা নাই। চিনি নিয়ে সব মিল মালিক এবং পাইকারি বিক্রেতার আশ্বস্ত করেছেন।
রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়েও কোনো সমস্যা হবে না। বাজারে কৃষিজ উৎপাদিত পণ্যের বাজার দরও অনেকটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে এসেছে। কিছু পণ্যের যৌক্তিক যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তার থেকেও কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এটা রমজানে অনেকের জন্য সাশ্রয়ী।
আরও পড়ুন
টিটু বলেন, আমাদের এখানে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সরকারি প্রতিনিধি রয়েছেন। আপনারা জানেন তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। কীভাবে যৌক্তিক মূল্যটা দীর্ঘসময় ধরে রাখতে পারি সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আছে। আপনারা অবহিত আছেন, পরিবহন তার মধ্যে অন্যতম একটা চ্যালেঞ্জ। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করছে। আমরা এনবিআর এর সঙ্গে কথা বলেছি যাতে আগামী বাজেটের আগে আমাদের সব নিত্যপণ্য যেন সারা বছরের জন্য একটা যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি। শেষ মুহূর্তে এসে আমাদের যেনো পরিকল্পনার কারেকশন করতে না হয়। একইসঙ্গে আমাদের আমদানিকারক ও উৎপাদক আছে তাদের জন্য ১২ মাসের একটা পরিকল্পনা হলে সবার জন্য সুবিধা হয়।
তিনি আরও বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে যে চাল, চিনি, তেল, ডাল ও ছোলা দেওয়া হচ্ছে এটাতে উপজেলা শহরগুলোতে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সেটার একটা সুফল বাজার পাচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারে নতুন সবজি ওঠায় সবজির বাজারেও স্বস্তি লক্ষ্য করছি। যদিও শহরের দু-একটা জায়গায় আপনারা একটু-আধটু সমস্যা খুঁজে পান।
এমএম/এসএম