৫০০ টাকার তরমুজ ২৫০, বিক্রেতা বলছেন ‘যথেষ্ট লাভ হচ্ছে’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবন চত্বরে ন্যায্য মূল্যে তরমুজ (পিস হিসেবে) বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। ৫০০ টাকার তরমুজ বিক্রি করেও বিক্রেতা বলছেন, যথেষ্ট পরিমাণ লাভ থাকছে। চাইলেই অন্য বিক্রেতারাও আরো কম দামে তরমুজ বিক্রি করতে পারেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্যোক্তা ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদারের। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
সুমন হাওলাদার বলেন, আমি বাজারে তরমুজ কিনতে গিয়ে প্রতারিত হই। এমনকি সেই দোকানির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আরো অপমানিত হই। এরপরই আমার মনে হয়েছে তরমুজের এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এরপরই ভোক্তা অধিদপ্তরে কথা বলে তাদের অনুমোদন নিয়ে তরমুজ বিক্রি শুরু করি। আমার বাড়ি পটুয়াখালী, এই তরমুজগুলোও আসে সেখান থেকেই। প্রতিটি তরমুজ ৭ থেকে ১০ কেজি ওজনের, সেগুলো বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
তিনি বলেন, যে তরমুজটা আমি ২৫০ টাকায় বিক্রি করছি, সেটিই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার উপরে। কিন্তু আমি কমে বিক্রি করেও তো যথেষ্ট লাভ পাচ্ছি, তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন পারবে না? আমি মনে করি, আমি যে দামে বিক্রি করছি ব্যবসায়ীরা চাইলেই এই দামে তরমুজ বিক্রি করতে পারে। কিন্তু তারা বেশি দামে বিক্রি করে লাভ করছে পণ্যের চেয়েও দুই থেকে তিনগুণ।
কম দামে বিক্রি করায় হুমকি-ধামকি আসছে জানিয়ে সুমন হাওলাদার বলেন, কারওয়ান বাজার পেট্রোবাংলার সামনে আমাদের পিক-আপ ভ্যান কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল, অল্প সময়ের মধ্যেই সেখানে ৫/৬ জন তরমুজ ব্যবসায়ী এসে হুমকি-ধামকি দিয়ে গেছে। এমনকি তাদের ব্যবসায় বাধা হয়ে দাঁড়ালে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে পারে বলে হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, আমি কারো হুমকি পরোয়া করি না। আমি এই দামে রাজধানীর ২৫টি স্পটে বিক্রি শুরু করেছি। যত বাধাই আসুক, আমি আমার কাজ চালিয়ে যাব। সাধারণ মানুষের জন্য যেকোনো মূল্যে সিন্ডিকেট ব্যবসা ভেঙে ফেলতে হবে।
এদিকে ন্যায্যমূল্যে পিস আকারে তরমুজ কিনতে পারায় খুশি ক্রেতারাও। মাহমুদুল হাসান নামক এক ক্রেতা বলেন, বাজারে যখন তরমুজে হাতই দেওয়া যাচ্ছে না, সেই সময়ে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রি খুবই প্রশংসার দাবিদার। আমি চাই এরকম আরো ব্যবসায়ী এগিয়ে আসুক। সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতে হবেই। আমরা সাধারণ ক্রেতারা সবসময় পাশে আছি।
টিআই/পিএইচ