রোজা সামনে রেখে বাড়ছে মাছ-মাংস ও সবজির দাম
আর কয়েক দিন পরই শুরু হবে রমজান। এরই মধ্যে বেড়ে চলছে মাছ-মাংস ও সব ধরনের সবজির দাম। বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে নিম্নবিত্তের মানুষরা। তারা বলছেন, এইভাবে দাম বাড়তে থাকলে শাক-সবজি খেয়েও রোজা রাখা দায় হয়ে পড়বে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তেলাপিয়া মাছের কেজি ২০০ টাকা, পাঙাসের কেজি ১৮০ টাকা, টেংরার কেজি ৫৬০ টাকা, ছোট রুই ৩১০ থেকে ৩২৯ টাকা, ইলিশের কেজি ১৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে ছোট কাচকি ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা, আইড় মাছ ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে খুচরা বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এই মুরগি পাওয়া গেছে ১৯০-২০০ টাকায়। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। বেড়েছে ডিমের দামও। যদিও বাজার ভেদে দেখা গেছে দামের ভিন্নতা। বড় বাজার গুলোতে ৪৮ টাকা আর এলাকা বা মহল্লার দোকানগুলোতে ৫০ টাকা হালিও ডিম বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৬০ টাকায় কেজিতে।
সুমুন নামের এক ক্রেতা বলেন, যেভাবে দাম বাড়ছে রমজানে ব্রয়লার মুরগি দাম ২৬০-২৭০ টাকা হয়ে যাবে। ফলে, আমাদের মতো মানুষের জীবন বাঁচানো কষ্ট হয়ে যাবে। ছেলে-মেয়েদের মাছ-মাংস খাওয়ানো যাবে না। সবজি দিয়ে ভাত দিতে পারবো কি না জানি না।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ কমপক্ষে রমজানে বাজার যেন কঠোরভাবে মনিটরিং করে।
শুধু মাছ-মাংস নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলছে সবজির দামও। গত সপ্তাহে তুলনায় প্রতিটি সবজিতে প্রকারভেদে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আর বিক্রেতারা বলছেন, শীত শেষ এখন দিনদিন সবজির সরবরাহ কমছে। তাই দাম একটু তো বাড়বেই। বাজারের চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, বেগুন লম্বাটা ৮০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, পাতা কপি ৫০ টাকা, সিম প্রকারভেদ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে সিমের বিচি কেজি ২২০ টাকা, মটরশুঁটি ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা আলাউদ্দিন খোকন বলেন, আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হয়। তাহলে বলেন, কম দামে কীভাবে বিক্রি করবো?
এএইচআর/এনএফ