এখনো কমেনি চার পণ্যের শুল্ক, যা বললেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
চার পণ্যের শুল্ক কমাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ইস্যুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কমেনি শুল্ক।
এ ইস্যুতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘আমরা চিঠি দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) তারা চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এখন এনবিআর কেন দিচ্ছে না, সেটা গিয়ে তাদের বলতে হবে।’
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআরের সঙ্গে বৈঠক করা হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এনবিআরের সঙ্গে আর বৈঠক করার দরকার নেই। গেল ২২ জানুয়ারি আমরা চিঠি দিয়েছি। বৃহস্পতিবার তারা চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এখন এনবিআর কেন দিচ্ছে না, সেটা গিয়ে তাদের বলতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুটো পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের আছে। একটি চিনি, অন্যটি ভোজ্যতেল। বাজারে যেসব পণ্য নিয়ে বেশি আলাপ হয়, তার মধ্যে এ দুটো। এ বিষয়ে বলছি যে, গেল ২২ জানুয়ারি চিঠি দিয়ে এনবিআর-কে বলা হয়েছে, যাতে শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়। এটা আমি এরইমধ্যে বলেছি। গেল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা কার্যকর হলে ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা স্বস্তি আসবে।
এরআগেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটার আমি কী করতে পারি? আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন, সেটার জবাব কী হতে পারে? এবার যদি না হয়, তখন আপনি বলতে পারেন, আপনি করলেন, করার পরেও হলো না।’
চারটি পণ্যের শুল্ক কমাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেগুলো হলো, চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চাল হচ্ছে খাদ্য অধিদপ্তরের। চালের বাজার, মজুত ও বিপণনের দায়িত্ব খাদ্য অধিদপ্তরের। আর কৃষিপণ্যের বাজারের দায়িত্ব কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের। প্রতিদিন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা কিছু কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ, খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য ও ঢাকা মহানগরীতে পাইকারি বাজার দর প্রকাশ করে।’
চার মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে কাজ করবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন চার মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করব। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বসতে পারিনি। ওমরাহ পালন করার জন্য দেশের বাইরে আছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি এলেই কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে বাজারকে কীভাবে যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা যায় এবং কার কী ভূমিকা, কে কী করবেন, তা নিয়ে কাজ শুরু করবো।’
এসএইচআর/এসএম