আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলদের প্রণোদনা, অসৎদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
বাড়তি রাজস্ব আদায়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা এবং অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম প্রমুখ।
এনবিআর দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আজ সারা বিশ্বের কাছে স্বীকৃত। অর্থনৈতিক সব সূচকে বাংলাদেশের দুর্বার অগ্রগতি সাধিত হলেও এখনো আমাদের কর জিডিপি রেশিও সন্তোষজনক নয়। আমি আশা করি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর জিডিপি অনুপাত বাড়াতে সচেষ্ট হবে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, কাস্টমের অন্যতম প্রধান কাজ বাণিজ্য সহজীকরণ। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় কাস্টমস সত্যিকার অর্থেই স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠবে।
আমদানি ও রপ্তানির ব্যয় কমিয়ে আনতে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
অর্থপাচার রোধ করা কাস্টমসের অন্যতম দায়িত্ব উল্লেখ করে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এই দায়িত্ব পালনে কাস্টমসের সক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি। আশা করছি কাস্টমস এই দিকটিতে বিশেষভাবে নজর দেবে।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট’ সম্মাননা দেওয়া হয় এনবিআর ও এর অধিভুক্ত দপ্তরের ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তিন প্রতিষ্ঠানকে।
প্রতি বছরের ন্যায় বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৫টি দেশে একযোগে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
২০০৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশন ২৬ জানুয়ারিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে বাংলাদেশ দিবসটি উদযাপন করছে। এবারের কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘মিলে নধীন- পুরোনো অংশীজন, কাস্টমস করবে লক্ষ্য অর্জন।’
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। এবারে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষ্যে ওই সেমিনার আয়োজন করা হয়।
আরএম/এমএ