নতুন বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার
নতুন বছর ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসের (জানুয়ারি থেকে জুন) জন্য ১৫ হাজার ৮২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তি) ভিত্তিতে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ের জন্য ১৮ লাখ ৫০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ১৫ হাজার ৮২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলার মাধ্যমে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’-এর আওতায় ইউএসএর এক্সলারেট এনার্জি এলপির কাছে থেকে (২০২৪ সালের দ্বিতীয়) ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেখানে ব্যয় হবে ৫৪২ কোটি ২৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৮০ টাকা।
এদিকে দেশের গমের চাহিদা পূরণে ৩৪৮ কোটি টাকার গম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে সাঈদ মাহবুব খান বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইউএই’র প্রতিষ্ঠান কেয়ারেল ক্রপ ট্রেডিং এলএলসির কাছ থেকে এই গম কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৫ কোটি ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা। এতে প্রতিকেজি গমের ক্রয় মূল্য পড়বে ৩৫ টাকা ১ পয়সা। খাদ্য অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এই গম কিনবে।
অন্যদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান অ্যাগ্রো ক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই গম কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৩ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজির দাম পড়বে ৩৪ টাকা ৬৮ পয়সা। এই গমও আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করবে খাদ্য অধিদপ্তর।
আরএম/কেএ