আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতে মিলবে ১০ শতাংশের বেশি সুদ
ব্যাংক ঋণের পর এবার ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) ঋণ ও আমানতের সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন এনবিএফআইগুলোতে আমানত রাখলে সুদ মিলবে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ, আর ঋণ নিলে গুনতে হবে ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
এখন যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ অর্থাৎ সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের অক্টোবরে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে আমানতে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ঋণে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে নভেম্বর মাসে ঋণ ও আমানতে সুদহার নির্ধারণ করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্মার্টের সঙ্গে (বর্তমানে স্মার্ট ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ) সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে। আগে এই মার্জিন ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। ফলে নতুন হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদহার নির্ধারণের সর্বোচ্চ সীমা হবে ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
আমানতের সুদহারের ক্ষেত্রে বর্তমান স্মার্ট—৭ দশমিক ৪৩ শতাংশের সঙ্গে মার্জিন যোগ হবে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এতে করে আমানতের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা দাঁড়াবে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ।
নতুন এই সার্কুলারে সুদহারের বিষয়টি ছাড়া অন্য কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সেই হিসেবে এর আগের প্রজ্ঞাপনের অন্যান্য শর্তাবলি অপরিবর্তিত থাকবে। আগের সার্কুলারে অনুসারে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয় ঋণে আরও ১ শতাংশ তদারকি মাশুল আদায় করতে পারবে।
তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো সুদ আরোপ করার পর ছয় মাসের মধ্যে তা পরিবর্তন করতে পারবে না। এর মধ্যে সুদহার বাড়লেও গ্রাহকের সুদ বাড়বে না। আবার সুদহার কমলেও গ্রাহকের সুদ কমবে না।
এসআই/এসএম