শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়ার প্রস্তুতি আছে
সব গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও ঈদের বোনাস দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমই'র নব-নির্বাচিত সভাপতি ও জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান।
সোমবার (১২ এপ্রিল) ‘কোভিড অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউঃ কীভাবে সামলাব?’ শীর্ষক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ওয়েবিনার সংলাপে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শ্রমিকদের রোজার ঈদের বোনাস ও বেতন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক হাসান বলেন, গত লকডাউনে এপ্রিল এবং মে মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দেওয়া হয়েছিল। আমরা আশা করি এবং প্রস্তুতিও থাকবে সব কারখানার শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়ার। তবে কারখানা চালু রেখে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়া অব্যাহত রাখতে চাই। এক্ষেত্রে সরকারেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
লকডাউনে কারখানা খোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কারখানা বন্ধ হলে শিপমেন্ট দিতে পারব না। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে লকডাউনে কারখানা চালু রেখেছে। আমরা ব্যবসার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধির প্রটোকল মানতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে বাধ্য করতে বিজিএমইএ'র ১০টি টিম আছে, যারা মনিটরিং করছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মনিটরিং টিম রয়েছে। অন্যদিকে আমাদের কারখানাগুলো প্রতিনিয়ত তৃতীয় পক্ষ ও বায়ারদের প্রতিনিধি পরিদর্শন করছে। একটি কারখানা যদি আক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে তা সবার জন্য বিপদ। আমরা আমাদের নিজেদের স্বার্থে স্বাস্থ্য প্রটোকলগুলো মানতে বাধ্য।
ফারুক হাসান বলেন, কোভিডের কারণে বিশ্বের কেউ ভালো নেই। এর আগের লকডাউনে তৈরি পোশাক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিজিএমএ'র পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে যথেষ্ট মনিটরিং করা হয়েছে। তাছাড়া ৯০ শতাংশ কর্মী কারখানার আশেপাশে থাকে। তারা মোটামুটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকেন কিংবা গার্মেন্টস কারখানাও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়। লকডাউন অবস্থায় যদি কারখানা বন্ধ হয়, তাহলে তারা বাড়ির দিকে ছুটবে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাবে। গতবারের অভিজ্ঞতা তাই বলছে।
আরএম/জেডএস