আলুর কেজি কোনোভাবেই ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না
আলুর কেজি কোনোভাবেই ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এক সাংবাদিক মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনারা বারবার সিন্ডিকেটের কথা বলছেন। কিন্তু মানুষ তো অসহায়, তারা কোথায় যাবে — এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সিন্ডিকেটের কথা বলছি না, আপনারা বলছেন। কিন্তু একটা বিষয় খুবই স্পষ্ট যে কোনোভাবেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না। ৬০ টাকা ৭০ টাকা ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন?
মন্ত্রী বলেন, এক কেজি আলুতে যদি একজন ২০ থেকে ২৫ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেন, কেন তিনি এটা করবেন? মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করে আমরা আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি। আমার মনে হয়, এটা তাদের জন্য সহায়ক হবে।
আমদানির এ সিদ্ধান্ত বাজারে প্রভাব ফেলবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রভাব ফেলবে বলেই আমরা অনুমতি দিয়েছি। এখন আপনারা সহযোগিতা করুন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বলেছে, তারা তৎপরতা বাড়াবে।
ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরও মানুষের কোনো লাভ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি থাকলে কী করা যাবে?
ভারতে ডিমের ডজন ৭০ টাকা, আর আমাদের এক হালি ৭০ টাকা। এ রকম অবস্থা কী করে হচ্ছে— এমন প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ডিমের দাম কম। কিন্তু আমাদের কাছে তথ্য আছে, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে অস্বাভাবিক, ডিমের দাম বেশি। সমস্ত ডিম ওই এলাকায় যাচ্ছে, আমাদের দিকে আসছে না। এজন্যই দাম অনেক বেশি।
তিনি বলেন, ভারত থেকে প্রতিদিন ১০ কোটি করে ডিম যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। আমরা অনুমতি দেওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা কেন আনছেন না? তারা তো বসে নেই। লাভ দেখলে তারা নিশ্চয়ই আমদানি করে আনতেন। আমদানি করেও শ্রীলঙ্কা, হায়দরাবাদ, কেরালায় দাম অনেক বেশি। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
এসএইচআর/এসএম