জমি কেনার নামে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের ১১৫ কোটি টাকা লুট
১১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাসলিমা ইসলামসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক শারিকা ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ও সাবেক পরিচালক তার স্ত্রী তাসলিমা ইসলাম, জমি বিক্রেতা ও স্ত্রীর ভাই সেলিম মাহমুদ, সাবেক কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হেমায়েত উল্যাহ, সাবেক ইভিপি ইঞ্জিনিয়ার আমির ইব্রাহিম, সার্ভে রিপোর্ট প্রনয়ণকারী টিপু সুলতান, ফুয়াদ আশফাকুর রহমান ও মোহাম্মদ আলম খান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের রমনা থানাস্থ কাকরাইল মৌজায় বিভিন্ন মালিকের কাছ থেকে ৮ হাজার বর্গফুটের পুরাতন ভবনসহ ৩২ শতাংশ জমি কেনে। তার মধ্যে ২৮ শতাংশ জমি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের শ্বশুর মো. মফিজুল ইসলাম ও স্ত্রীর বড় ভাই মো. সেলিম মাহমুদের কাছ থেকে কেনা হয়। নজরুল ইসলাম ও আসামিরা নীতিমালা ভঙ্গ করে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সার্ভে ফার্মের সহযোগিতায় ২৮ শতাংশ জমি প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের জন্য ক্রয় করেন। পরবর্তীতে নজরুল ইসলাম, তার স্ত্রী, তার শ্বশুর ও স্ত্রীর ভাইয়ের জমি বিক্রি করে ১১৫ কোটি টাকা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯ ও ১০৯ ধারা ও মানিলন্ডারিং আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরএম/এমজে