৩০ নভেম্বরের পরে রিটার্ন দাখিলে আইনি বাধা নেই
৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এর পরেও যেকোনো করদাতা রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে নতুন আয়কর আইন ২০২৩ অনুসারে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গতকাল দেশের শীর্ষ এক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি সংবাদের কারণে সাধারণ করদাতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় রোববার (১৩ আগস্ট) এনবিআরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।
এনবিআর পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল ১২ আগস্ট ‘রিটার্ন জমা বন্ধ ৩০ নভেম্বরের পর, আয়কর আইনে আরও যেসব কঠোর বিধান’ শিরোনামের সংবাদের প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে অসম্পূর্ণ এবং অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। জনবিভ্রান্তি অবসানের জন্য এনবিআর পরিষ্কার ধারণা দিয়েছে।
এনবিআরের ব্যাখ্যা
আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী যেকোনো করদাতা যেকোনো সময়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। ধারা ১৭১ অনুযায়ী প্রত্যেক করদাতাকে করদিবসের (৩০ নভেম্বরের) মধ্যে বা এর পূর্বে রিটার্ন দাখিলের বিধান রয়েছে এবং এক্ষেত্রে ধারা ১৭৩ অনুযায়ী কর পরিশোধের বিধান রয়েছে। তবে, কোনো করদাতা করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে তিনি করদিবস পরবর্তী যেকোনো সময়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন এবং ধারা ১৭৪ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে পারবেন।
আয়কর আইন, ২০২৩-এ রিটার্ন দাখিলের জন্য সময় বৃদ্ধির কোনো বিধান রাখা হয়নি। কেননা, করদাতারা এখন যেকোনো সময় রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ১৭৩ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে হবে এবং করদিবস পরবর্তী সময়ে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ১৭৪ অনুযায়ী কর পরিশোধ করতে হবে।
আয়কর আইনের ১৮০ ধারা অনুযায়ী কোনো করদাতা তার বকেয়া রিটার্ন স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে দাখিল করতে পারবেন যা আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ অনুযায়ী সম্ভব হতো না। অর্থাৎ করদাতা এখন যেকোনো বছরের রিটার্ন যেকোনো সময়ে দাখিল করতে পারবেন এবং তা স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে দাখিল করতে পারবেন। এতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
আরএম/এমএ