ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ডিজিটাল ব্যাংকের আবেদন
কোনো শাখা, উপ-শাখা, এটিএম বুথ ছাড়াই পুরোপুরি প্রযুক্তির নির্ভর করে চলবে ‘ডিজিটাল ব্যাংক’। সশরীরে লেনদেনের কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। মোবাইল আর ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করেই গ্রাহকদের সেবা দেবে ব্যাংকটি। এ ব্যাংক গঠনে লাগবে ১২৫ কোটি টাকা, পরিচালক হতে লাগবে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা।
গতানুগতিক নয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করতে হবে। নতুন ধারার এ ব্যাংক চালু করতে আগ্রহীদের আবেদন নিতে নতুন ওয়েব পোর্টালও খোলা হয়েছে। তবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কেউ আবেদন করেনি।
এর আগে গত ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ চালুর অনুমোদন দেয়। ১৫ জুন এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাগুজে নথি জমা দিয়ে নয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র ডিজিটাল উপায়েই জমা দিতে হবে। আবেদন ফি হবে পাঁচ লাখ টাকা, যা অফেরতযোগ্য। আর এই ব্যাংক খুলতে ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা।
এরই ধারাবাহিকতায় ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ এর জন্য অনলাইনে আবেদন জমা দিতে গত ২১ জুন একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবেদনের জন্য ৪২ দিন উন্মুক্ত থাকবে পোর্টালটি। আগামী ১ অগাস্টের মধ্যে আগ্রহীদের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন চৌধুরী শনিবার (১ জুলাই) ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কেউ আবেদন করেনি এটা নিশ্চিত। তবে আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত সময় আছে, এই সময়ের মধ্যে যে কেউ আবেদন করতে পারবেন।
নীতিমালায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ডিজিটাল ব্যাংকের কোনো শাখা, উপ-শাখা, এটিএম বুথ বা কোনো স্থাপনা থাকবে না। মোবাইল বা অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা লেনদেন করতে পারবেন। তাদের সশরীরে ব্যাংকের কোনো শাখায় যেতে হবে না। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক এই চলবে।
নীতিমালায় বলা হয়, ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের মূলধন সংরক্ষণ চুক্তি করতে হবে। কোনো ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়লে তা উদ্যোক্তাদের যোগান দিতে হবে। ঋণখেলাপি কেউ ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। এমনকি ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের কারও বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত কোনো মামলা আদালতে চলমান থাকলে তারাও আবেদন করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
এসআই/এসকেডি