২০৩৬ পর্যন্ত বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির কর মওকুফ
বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর করছাড়ের মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
করছাড় পেতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে আগামী ২০৩৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্জিত আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না।
তবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো এ সুবিধা পাবে না।
সোমবার (১৯ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের যেসব প্রাইভেট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি ব্যতীত) বাণিজ্যিক উৎপাদন ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শুরু হবে, সেসব কোম্পানির কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবসায় অর্জিত আয়ের ওপর উৎপাদনের তারিখ থেকে ২০৩৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোনো কর দেওয়া লাগবে না।
যেখানে আরও বলা হয়, এ ছাড়া কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের আয়ের ওপর, বাংলাদেশে তাদের আসার দিন থেকে পরবর্তী তিন বছর কর প্রযোজ্য হবে না। কোম্পানি থেকে গৃহীত বৈদেশিক ঋণের ওপর প্রদেয় সুদের ওপর কোনো করারোপ হবে না। কোম্পানি থেকে প্রদেয় রয়্যালটিস, টেকনিক্যাল নো-হাও অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স ফির ওপর কর দিতে হবে না। এ ছাড়াও কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ফলে উদ্ভূত মূলধনি মুনাফার ওপরও কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে আসবে, সেসব কোম্পানিকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর আয়ের ওপর কোনো কর দিতে হবে না। এর পরবর্তী তিন বছর অর্ধেক এবং তার পরবর্তী দুই বছর ২৫ শতাংশ হারে আয়ের ওপর করছাড় পাবেন তারা।
তবে উভয় ক্ষেত্রে কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোকে যথাযথভাবে হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে এবং প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশে নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরএম/এমএ