লেনদেন কমলেও মূলধন বেড়েছে পুঁজিবাজারে
মে দিবস উপলক্ষ্যে পহেলা মে এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ৪ মে বৃহস্পতিবার দুই দিন সরকারি ছুটি ছিল। ফলে গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে তিন কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দুই কর্মদিবস সূচক কমেছে আর এক কর্মদিবস সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় পুঁজিবাজারে লেনদেনে হয়েছে। দাম বাড়ার পরিবর্তে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম, লেনদেন এবং সূচক কমেছে।
তারপরও মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) ফিরেছে ২৫৯ কোটি ৮০ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬০ টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রায় একই চিত্র দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
রোববার (৩০ এপ্রিল) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭ কোটি ৬৯ লাখ ৫৯ হাজার ২১৪ টাকা। আর শেষ দিন বুধবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৩১৭ কোটি ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪ টাকা। অর্থাৎ টাকার অঙ্কে পুঁজি বেড়েছে ২৫৯ কোটি ৮০ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬০ টাকা। এর আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ২ হাজার ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ১৮৮ টাকা। ফলে ঈদ পরবর্তী দুই সপ্তাহে পুঁজি বাড়ল।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৮১টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩১টির। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১১৩টির, কমেছিল ৩৩টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এতে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪ দশমিক ৯০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে ও ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ সপ্তাহে ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ার লেনদেন হয়নি ২ শতাধিক কোম্পানির। তারপরও বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪০৮ কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮৫ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯৯৮ কোটি ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৫ টাকা। অর্থাৎ ৫৯০ কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ৯৮০টাকার শেয়ার লেনদেন কমেছে, শতাংশের হিসাবে ১৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে লেনদেন হয়েছে, ইউনিক হোটেলের শেয়ার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, লাফার্জহোলসিম, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, আমরা নেটওয়ার্কস, নাভানা ফার্মা, জেনেক্স ইনফোসিস,জেমিনি সি ফুড, এবং রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার।
দেশের অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে লেনদেনেও প্রায় একই চিত্র ছিল। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৫৬ লাখ ৭১ হাজার ৬১ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৫৬ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ৫৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
এমআই/এসকেডি