পি কে ছাড়াও শতাধিক খেলাপির কাছে জিম্মি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং
নামে-বেনামে অর্থ লুট করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডকে (আইএলএফএসএল) খাদের কিনারায় নিয়ে গেছেন প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। এই সুযোগের ফায়দা নিয়েছেন ঋণ নেওয়া শতাধিক প্রতিষ্ঠান। এখন তারা ঋণের টাকা ফেরত না দিতে নানা টালবাহানা করছেন। ইচ্ছাকৃত এসব খেলাপির কাছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পাওনা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা টাকা।
ঋণের অর্থ ফেরত চাইলে হুমকি-ধমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ফলে গ্রাহকের পাওনা অর্থ ফেরত দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছে আইএলএফএসএল। অন্যদিকে, জমানো টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আমানতকারীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের খ্যাতি ছিল একসময়। ভালো ভালো কয়েকটি গ্রুপ এর পরিচালনাপর্ষদের সদস্য ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে বিভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কিনে পরিচালনাপর্ষদ দখল করে নেন রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি পি কে হালদার। পরে প্রভাব খাটিয়ে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে-বেনামে প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। শুরু হয় সংকট।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ২০১৯ সাল শেষে আমানতের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। ঋণ ছিল তিন হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি দুই হাজার ৮০২ কোটি টাকা লোকসান করে। ২০১৮ সালে ১১ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি
আমানতকারীরা জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে আদালতে যান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এক মাসের মাথায় পদ ছেড়ে দেন তিনি। জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সক্রিয় না হলে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এরপর আদালতের আদেশে সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম (এনআই) খান চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান।
চেয়ারম্যান হিসাবে নজরুল ইসলাম খান যোগ দেওয়ার পর প্রায় ৬০ কোটি টাকা ছোট ছোট আমানতকারীদের ফেরত দিয়েছেন। এককালীন কিছু টাকা আদায় করে ঋণ নিয়মিত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন নানামুখী সমস্যায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অর্থ আদায়। প্রতিষ্ঠানটি বাঁচানোর যে আশার আলো ছিল তাও নিভে যাচ্ছে। বিজ্ঞাপন দিয়েও মিলছে না ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। এদিকে সবার হিসাব জব্দ। তাই ঋণের টাকাও ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম এখন স্থবির।
জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ২০১৯ সাল শেষে আমানতের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। ঋণ ছিল তিন হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি দুই হাজার ৮০২ কোটি টাকা লোকসান করে। ২০১৮ সালে ১১ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটির বর্তমানে শেয়ারের অভিহিত মূল্য (ফেস ভ্যালু) অর্ধেকের নিচে অর্থাৎ ৪ টাকা ৩০ পয়সায় অবস্থান করছে।
আদালতের নির্দেশে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখাই আমার প্রধান লক্ষ্য। প্রথমে আমরা কিছু আমানতকারীর অর্থ ফেরত দিয়েছি। পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি টাকা হবে। কিন্তু এখন পুরো কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে
এন আই খান, চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং
বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান এন আই খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতের নির্দেশে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখাই আমার প্রধান লক্ষ্য। প্রথমে আমরা কিছু আমানতকারীর অর্থ ফেরত দিয়েছি। পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি টাকা হবে। কিন্তু এখন পুরো কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে।
তিনি আরও বলেন, ঋণের টাকার বড় অংশ পি কে হালদারের সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর দখলে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল পি কে হালদারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ তার মাধ্যমে বিক্রি করে অর্থ আদায় করা। কিন্তু এখন তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন। অর্থ ফেরত পাওয়া দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান টাকা দিতে চাইছে, সবার হিসাব জব্দ। ফলে চেক জমা হলেও টাকা আসছে না।’
পি কে হালদার ছাড়াও প্রায় ২২০০ কোটি টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পড়ে আছে। অনেকে ঋণ নিয়ে ভালো ব্যবসাও করছেন। কিন্তু ঋণের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। ওই টাকাগুলো পেলে কিছু আমানতকারীর অর্থ ফেরত দেওয়া যেত। কিন্তু এখন তারা সুযোগ নিচ্ছেন। ঋণের টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য নানা টালবাহানা করছেন। অর্থ ফেরত চাইতে গেলে অনেকে ভালো ব্যবহারও করছেন না
এন আই খান, চেয়ারম্যান, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং
পি কে হালদারের কারণে অনেকে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হয়ে সুযোগ নিচ্ছেন— জানিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান বলেন, ‘পি কে হালদার ছাড়াও প্রায় ২২০০ কোটি টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পড়ে আছে। অনেকে ঋণ নিয়ে ভালো ব্যবসাও করছেন। কিন্তু ঋণের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। ওই টাকাগুলো পেলে কিছু আমানতকারীর অর্থ ফেরত দেওয়া যেত। কিন্তু এখন তারা সুযোগ নিচ্ছেন। ঋণের টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য নানা টালবাহানা করছেন। অর্থ ফেরত চাইতে গেলে অনেকে ভালো ব্যবহারও করছেন না।’
আইএলএফএসএল সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, মন্দ ঋণের তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এক হাজার ৫৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বেশি পাওনা। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আবার কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
খেলাপির তালিকায় থাকা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে ঢাকা পোস্টের। তারা জানান, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তারা আলোচনা করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে তাদের (ইন্টারন্যাশনাল লিজিং) চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। ঋণের অর্থ পরিশোধ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে
কাজী ফরিদউদ্দিন আহমেদ, সিইও ও এমডি, পিএফআই সিকিউরিটিজ
এমন একটি প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউজ ‘পিএফআই সিকিউরিটিজ লি.’। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ঋণখেলাপির তালিকায় যাদের নাম অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটির কাছে আইএলএফএসএল’র পাওনা ৮১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকার বেশি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএফআই সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফরিদউদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এ বিষয়ে তাদের (ইন্টারন্যাশনাল লিজিং) চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। ঋণের অর্থ পরিশোধ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।’ এর বেশি আর কিছু বলতে চাননি তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপি
মন্দ ঋণের তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে নিউট্রিক্যাল লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৪ কোটি ৭২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। এছাড়া কোলাসিন লিমিটেডের খেলাপি ঋণ ৮৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, গ্রীনলাইন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের খেলাপি ৭৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, সুপারিওর টেক্সটাইলের ৫৯ কোটি টাকা, মুন এন্টারপ্রাইজের প্রায় ১০০ কোটি টাকা, ওকায়ামা লিমিটেডের খেলাপি ১০২ কোটি টাকা, পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ৮১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, কনিকা এন্টারপ্রাইজের খেলাপি ঋণ ৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বর্ণালী ফেব্রিক্সের খেলাপি ঋণ ৪৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা, এস এ এন্টারপ্রাইজের ৪৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, সামান্নাজ সুপার অয়েল ৪৪ কোটি টাকা, উইনটেলের খেলাপি ঋণ ৭৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের ৪১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, রাহমান কেমিক্যালের ৩৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা, বেন্টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৩৮ কোটি টাকা, ফারুক অ্যান্ড সন্সের ১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, ম্যাবকো ফুডসের ১৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা, ক্রস রোড করপোরেশনের ৩৩ কোটি টাকা, ইয়াকুব সিএনজি ফিলিংয়ের ৪৫ লাখ টাকা, ইয়াকুব সিন্থেটিকের ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা, মিতা টেক্সটাইলের ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা, এম এ জিপার অ্যান্ড ইলাস্টিকের খেলাপি ঋণ ১১ কোটি ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, বিশ্বাস ফেব্রিক্সের ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, এম এ বি গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইলের ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, তাইওয়ান ডেভেলপমেন্টের ১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, রহমান শিপ ব্রেকার্স লিমিটেডের ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা, এম এম শিপ ব্রেকার্সের ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, প্রাইম সোর্সিংয়ের ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, এনআরবি এন্টারপ্রাইজের ১০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, ইসলাম ট্রেড কনসোর্টিয়ামের ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, রেডিও ব্রডকাস্টিংয়ের (বাংলাদেশ) খেলাপি ঋণ ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা, এম আই স্টিল রোড ইন্টারন্যাশনালের ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, নন্দন পার্কের ৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, ওমর ফারুক অ্যান্ড কোং-এর ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন লিমিটেডের ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা, গ্লোবাল অ্যাসেনশিয়ালের খেলাপি ঋণ ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, এভার বেস্ট টেক্সটাইলের ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ওয়েসিস ল্যাবরেটরিজের ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ক্রিস্টাল ফিশারিজের ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, ডিসেন্টের খেলাপি ঋণ ৬১ লাখ ৪১ হাজার টাকা, কোয়ান্টাম প্রোপারটিজের ৫৮ লাখ ১০ হাজার টাকা, তামান্না এন্টারপ্রাইজের ৫৬ লাখ টাকা, মিনহার ফিশারিজের খেলাপি ঋণ এক কোটি ১২ লাখ টাকা, ইন্টার এক্সপোর্টস ইন্টারন্যাশনালের ৫৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, অনন্যা ফ্যাশনের ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা, তাসিন ট্রেড ইমপেক্সের ১৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা, শামীম আজাদের তিন লাখ ৪৬ হাজার টাকা, গ্রান্ড মটরসের তিন লাখ সাত হাজার টাকা, কাজী আলমগীর হোসেনের দুই লাখ ৪৭ হাজার টাকা, ই এন মটরস লিমিটেডের এক কোটি ৮২ লাখ টাকা, পুনাম সিনেমার তিন লাখ টাকা, হাসিবুর রহমানের সাড়ে আট লাখ টাকা, মধুমতি ফাউন্ডেশনের ৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, ফাতেমা শিপিংয়ের ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টের ১৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা, উৎসব কমিউনিকেশনের ২ কোটি ২১ লাখ টাকা, ডব্লিউ জি এম ই সি-আর সি জয়েন্ট ভেঞ্চারের খেলাপি ঋণ এক কোটি ৩৬ লাখ টাকা, মুসা ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, মধুমতি এন্টারপ্রাইজের এক কোটি ৯০ লাখ টাকা, বি ই জি স্টিল ইন্ডাস্ট্রির এক কোটি ৪১ লাখ টাকা, লকউড অ্যাসোসিয়েটের ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, এম এস ইয়েন ইলেকট্রনিক্সের ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওয়েস্টমন্ট পাওয়ারের (বাংলাদেশ) খেলাপি ঋণ ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট সাপোর্ট সিস্টেমের ৫ কোটি ১৪ লাখ ৬১ হাজার টাকা, ফায়ার প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির এক কোটি ৩২ লাখ ৮১ হাজার টাকা, রাইজিং স্টিল লিমিটেডের ৩২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার খেলাপি ঋণ, সাদমান পেপারের ৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, তরঙ্গ প্লাস ট্রান্সপোর্টের ২ কোটি ৮ লাখ, ইটারনাল ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ৪৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা, ইউনিম্যাক্স রেডিমিক্স কনসার্টের এক কোটি ৩০ লাখ টাকা, ক্যাবল ওয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, ফরিদা ইয়াসমিন রহমান অ্যান্ড এস এম হাবিবুর রহমানের ৯০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, সেলিম আহমেদের ৩০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, মিৎসুমারু বাংলাদেশের ৫৬ লাখ টাকা, ফারইস্ট স্টক অ্যান্ড ব্রোকারের ৩০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের ২৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, চৌধুরী প্যাকেজিং অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজের খেলাপি ঋণ ৬ কোটি ৪৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, এফ এম সি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ২০ কোটি টাকা, জাগুর ট্রান্সপোর্টের ১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ইউনিভার্সাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির খেলাপি ঋণ ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, খন্দকার ট্রেডিং করপোরেশনের চার কোটি ৪১ লাখ টাকা, কুইনির দুই কোটি ৬১ লাখ, দ্য অ্যান্টিক লিমিটেডের ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, জবলি ট্রেডার্সের এক কোটি ১৮ লাখ টাকা, কন্টিনেন্টাল ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রিজের ৮২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, প্রশান্ত কুমার হালদারের নিজস্ব নামে খেলাপি ৩৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, সুবিনসের খেলাপি ঋণ ৩৬ লাখ টাকা, পিপল লিজিংয়ের খেলাপি ঋণ ৩১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, মরিয়ম ট্রেডার্সের ৩৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, নিলুফার খান বিথীর খেলাপি ঋণ ৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, হাল ইন্টারন্যাশনালের ৬৪ হাজার টাকা, জেড এ অ্যাপারেল লিমিটেডের ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা, ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেডের খেলাপি ঋণ ২৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, আর এম এক্সেসরিজের এক কোটি ৪১ লাখ টাকা, নিউ ইরা হসপিটালের খেলাপি ঋণ ২৩ লাখ টাকা, ক্যাব ওয়ানের এক কোটি ৫ লাখ টাকা, মাইক্রো লিজেন্ডের ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ইমার এন্টারপ্রাইজের ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, মদিনা টেক্সটাইল মিলসের ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং সিএনজি মিডওয়ে পাম্পের খেলাপি ঋণ ৪৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
এসআই/এমএআর/