ঈদের আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি
ঈদকে কেন্দ্র করে বেড়েছিল ব্রয়লার মুরগির দাম। ঈদ শেষে তিন দিন পার হলেও সেই দামেই বিক্রি হচ্ছি মুরগি। তবে ঈদ উদযাপনে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া লোকজনের চাপ ঢাকায় এখনও না বাড়ায় বাজারে ক্রেতা ও বিক্রি কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঈদের চতুর্থ দিন মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫৫ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে। যা ঈদের আগে থেকেই চলছিল। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও সোনালি জাতের মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৮০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
রামপুরা বাজারে মুরগি কিনতে আসা সাইফুদ্দিন মিলন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাসায় মেহমান এসেছে। তাই মুরগি কিনতে এসেছি। কিন্তু মুরগির দাম তো গরুর মাংসের চেয়ে বেশি। কয়েকটি দোকান দেখলাম কেউ ২৬০ টাকার নিচে দিচ্ছে না। দাম সমন্বয় করতে ৩ কেজির জায়গায় আড়াই কেজির মধ্যে মুরগি দেখছি।
এই বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মিজান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খুচরা ব্যবসায়ী, কাপ্তান বাজার থেকে মুরগি এনে বিক্রি করি। তারা ঈদের সময় থেকে মুরগির দাম বাড়িয়েছে। আগে যে মুরগি কিনেছি ২০৭ টাকা কেজি, সেই মুরগি এখন কিনতে হচ্ছে ২৪৭ টাকা কেজিতে। এ কারণে ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের।
এদিকে দাম বাড়ায় দুই দিন দোকান বন্ধ রাখেন মায়ের দোয়া স্টোরের মালিক হেলাল। তিনি বলেন, কাপ্তানবাজারে মুরগি কিনতে গিয়ে ফিরে এসেছি। কারণ পাইকারিতে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। এখন খুচরা বিক্রি করতে হবে ২৮০ টাকার বেশি।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, করপোরেট কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে সিন্ডিকেট তৈরি করে মুরগির দাম বাড়িয়েছে। তাদের সহযোগিতা করছে প্রাণিসম্পদের উচ্চপদস্থ অসাধু কিছু কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, মুরগির খাদ্য উৎপাদনের সব পণ্যের দাম কেজিতে ১২ থেকে ১৪ টাকা কমেছে, কিন্তু খাদ্যের দাম কমায়নি কোম্পানিগুলো। ফলে কোম্পানিগুলোর মুরগির উৎপাদন খরচ আগের থেকে অনেক কম। কিন্তু তারা উল্টো বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করে মুরগির দাম বাড়াচ্ছে।
এমআই/জেডএস