কারখানায় অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে বিজিএমইএর ৭ সুপারিশ
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে পোশাক কারখানা বেশ কয়েক দিন বন্ধ থাকবে। এ সময় কারখানায় থাকবেন না কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ অবস্থায় কারখানায় যাতে কোনো অগ্নিদুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিজিএমইএ।
কারখানা বন্ধকালীন সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে কারখানায় জরুরিভিত্তিতে সাত পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে পোশাক মালিকদের এ সংগঠন। সোমবার বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব সুপারিশ করা হয়।
১. কারখানা বন্ধ করার পূর্বে একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে জেনারেটর, বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ, বয়লার, এসি, কম্পিউটার, সকল ফ্লোরের মেশিনারিজ, লাইট, ফ্যান, আয়রন, ইলেকট্রিক হিটার/কেটলি ইত্যাদি বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা। নিরাপত্তার স্বার্থে শুধুমাত্র রাতে জরুরি বাতি জ্বালানো যাবে।
২. কারখানার মালামালের নিরাপত্তার স্বার্থে মূল গেটসহ ভবনের সকল দরজা, জানালা ইত্যাদি বন্ধ রাখা।
৩. জরুরি অবস্থা (অগ্নিদুর্ঘটনা বা যেকোনো দুর্ঘটনা) এবং পুরো কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির জন্য সার্বক্ষণিকভাবে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে অগ্নি নির্বাপণ বিষয়ে প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি গার্ড নিযুক্ত রাখা।
৪.তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নির্বাপণ করার জন্য কারখানায় প্রয়োজনীয় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, পানি ভর্তি ড্রাম ও বালতি এবং হোজরিল/হাইড্রেন্টসমূহ কার্যকর আছে কি না তা পরীক্ষা করা।
৫. যেকোনো ধরনের নিরাপত্তার জন্য কারখানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় রাখা এবং সেগুলো সার্বক্ষণিকভাবে চালু রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
৬. যেকোনো জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য সিকিউরিটি গার্ডকে অবশ্যই নিকটস্থ থানা এবং জরুরি সেবার নম্বর হাতের কাছে রাখার নির্দেশ দেওয়া।
৭. কারখানা খোলার পর সকল বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, এসি, জেনারেটর, বয়লার, কমপ্রেসর ইত্যাদি চালু করার পূর্বে পরীক্ষা করে নেওয়া। বিশেষ করে বয়লার চালু করার পূর্বে বয়লারের সকল ইনলেট-আউটলেটের ভাল্ব পরীক্ষা করে নেওয়া।
এমআই/এসকেডি