এয়ারলাইন্স ও শিপিং কোম্পানি খুলতে পারবে বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব
দেশীয় শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্সের নামে বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে এসব প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ আনবে তার ৭৫ শতাংশ তাদের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমা করতে পারবে।
বাকি ২৫ শতাংশ অর্থ টাকায় নগদায়ন করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব থেকে জাহাজ বা এয়ারক্রাফটের পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সোমবার দেশের অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্সের নামে বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খোলার সাধারণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, দেশের শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্সের বৈশ্বিক কার্যক্রম প্রসার লাভ করছে। এ বিবেচনায় বিদেশ থেকে দেশে আনা বা প্রাপ্ত অর্থের (ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স) ৭৫ শতাংশ সংশ্লিষ্টদের নামে স্থাপিত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমা করা যাবে। অবশিষ্ট অর্থ টাকায় নগদায়ন করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের স্থিতি দ্বারা জাহাজ বা এয়ারক্রাফটের পরিচালন ব্যয় করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
যেসব বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্স বিদেশি সংস্থার কাছে জাহাজ বা কন্টেইনার ও এয়ারক্রাফট ভাড়া দিয়ে থাকে সেসব কোম্পানিও বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খুলতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার ৫০ শতাংশ উক্ত হিসাবে জমা রাখা যাবে, যা জাহাজ, কন্টেইনার ও এয়ারক্রাফটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহে ব্যবহার করা যাবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার ফলে স্থানীয় শিপিং ব্যবসা প্রসার লাভ করবে। দেশীয় শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্স বৈশ্বিক পরিচালন কার্যক্রমে বিদেশি এজেন্টদের ওপর নির্ভরতা কমে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে পারবে।
এসআই/এসকেডি