বিমা দাবির পৌনে ১৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেনি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স
সর্বশেষ তিন বছরে গ্রাহকদের ১২ কোটি ৭২ লাখ টাকার বিমা দাবি পরিশোধ করেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ফেডারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানের ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ সময়ের গ্রাহকরা তাদের বিমার টাকা চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই টাকা পরিশোধে কোম্পানিটি গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গ্রাহকদের বিমা দাবির অবেদনের বিষয়টি স্বীকার করেছে ১৯৮৭ সাল থেকে দেশের বিমা জগতে ব্যবসা করে আসা ফেডারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। তাদের দাবি, গ্রাহকদের বিমার টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্য মতে, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের কাছে মোট পৌনে ১৩ কোটি টাকা পাবেন ৫৫ জন গ্রাহক (ব্যক্তি ও কোম্পানি)। এর মধ্যে ২০২০ সালের এক গ্রাহক ৮৮ লাখ ৮ হাজার ৮০০ টাকা পাবেন বলে দাবি করেছেন। ২০২১ সালের তিন গ্রাহকের ৮ কোটি ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬ টাকা, ২০২২ সালের ৫১ গ্রাহকের ৩ কোটি ৬৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭ টাকা এখনো পরিশোধ করেনি কোম্পানিটি।
বিষয়টি স্বীকার করে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ এমএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রাহকদের দাবি করা বিমার টাকা পরিশোধ করছি না বিষয়টি ঠিক নয়। তাদের দাবি পরিশোধে কাজ চলছে। বলতে পারেন এটা প্রক্রিয়াধীন একটা বিষয়।
তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুততম সময়ে গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে এখন ইন্স্যুরেন্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের কয়েক বছরের সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, অবলিখন মুনাফার উন্নয়ন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোট সম্পদের পরিমাণ বাড়ছে এবং এস প্রিমিয়াম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গ্রাহকের আস্থা অর্জনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে আইডিআরএর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রাহকদের দাবি করা বিমার টাকা পরিশোধের জন্য ফেডারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করবে বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ছিল ৭১ কোটি ৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট সম্পদ বর্তমানে ১৬৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির তথ্য মতে, ২০২১ সালে তারা ৭ কোটি ১০ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪৩ শেয়ারহোল্ডারকে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তার আগের বছরও শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ (৫ শতাংশ নগদ আর ৫ শতাংশ বোনাস) লভ্যাংশ দেওয়া হয়।
এমআই/কেএ