বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায় ঘোষণা আসবে ৫০ বিলিয়ন ডলারের
আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাতদিনের বসন্তকালীন সভা। এবারের সভায় বৈশ্বিক সংকটের জন্য প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঘোষণা আসবে সংস্থাটির কাছ থেকে। তবে বিশ্বব্যাংকে বার্ষিক সাধারণ সভার মতো বসন্তকালীন সভাতেও বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অংশ নেয়নি।
স্থানীয় সময় সোমবার (১০ এপ্রিল) থেকে আগামী রোববার (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে। ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদর দপ্তরে বসন্তকালীন সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভাটির নেতৃত্ব দেবেন ফ্যান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো এবং বারডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়ামতলু। এদের সঙ্গে বিশ্ব নেতারা, শিক্ষাবিদ, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। এছাড়া, বিশ্বব্যাংকের সদস্যভুক্ত ১৮৯ দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা অংশ নেবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে বসন্তকালীন সভায় ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে। দলটি গত শুক্রবারই ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে গেছে। গভর্নরের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা পারভীন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) থেকে দুজন এতে যোগ দিচ্ছেন। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আরও তিনজন যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সাধারণত, এ ধরনের বৈঠকে যোগ দেওয়া বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবার এতে যোগ দিচ্ছেন না। তিনি অবশ্য যোগ দেননি গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ছয় দিনব্যাপী বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনেও।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের এই বসন্তকালীন সভায় এবার বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় ৫০ বিলিয়ন ডলার বাড়তি অর্থায়নের ঘোষণা দেবে সংস্থাটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকন্সট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইবিআরডি)। আইবিআরডির সদস্য হওয়ায় এই অর্থায়নের সুবিধা বাংলাদেশও পাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস আগেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ২০২০ থেকে ২০২২ অর্থবছরের তিন বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ। এই অর্থায়নের অর্ধেকেরও বেশি জলবায়ু খাতে অর্থায়ন করা হয়েছে।
এসআর/এসএম