চাল ডাল তেল চিনিতে চড়া বাজার
রাজধানীর মুগদার মুদি দোকানি আল-আমিন। মোটা চালের কেজি কত জানতে চাইলে তিনি জানালেন, ৪৮ টাকার নিচে কোনো চাল নেই। খুচরা সয়াবিনের দাম জানালেন ১৩০ টাকা কেজি আর বোতল নিলে পড়বে ১৩৫ টাকা। তবে রূপচাঁদা তেলের দাম আরও ৫ টাকা বেশি।
শুধু চাল-তেল নয়, বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম চড়া। মানুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যেসব পণ্য থাকে তার বেশিরভাগেরই দাম বেড়েছে। চাল, ডাল, তেল চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখি। দফায় দফায় বেড়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন প্রতি লিটার ১৪০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। গরিবের মোটা চালের দাম ঠেকেছে ৫০ টাকায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোক্তারা।
অন্যান্য চালের দাম কত জানতে চাইলে মুদি ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, গত এক মাসে চালের দাম কেজিতে ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। গত মাসে খুচরা পর্যায়ে নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের দাম ছিল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা কেজি, এখন বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭০ টাকা কেজি। ৫৪ থেকে ৫৮ টাকার মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল এখন ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল ছিল ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা, এখন ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে এক লিটার ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৬৪০ থেকে ৬৮০ টাকা। প্রতি কেজি খুচরা লুজ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা আর পাম অয়েল ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়।
গত এক মাসে চাল, তেল, ডাল ও চিনির দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও। সব শেষ টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে মিনিকেট ও নাজির বা সরু চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। মাঝারি পায়জাম চালের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
খুচরা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর জানান, গত এক মাস ধরে বাজার চড়া। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ সব পণ্যের দামই বাড়তির দিকে। পাইকারি বাজারে গেলেই দেখি কেজিতে এক-দুই টাকা বেশি। ১২০ টাকার তেল ১৪০ টাকা হয়ে গেছে। তেলের এতো দাম তিনি কখনও দেখেননি।
মতিঝিল এলাকার এক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বললেন, ৫ লিটারের রাইস ব্র্যান তেল কিনলাম, ৭২০ টাকা নিল। একই তেল আগে কিনেছি ৬৫০ টাকা দিয়ে। ছোট ডানার মশুর ডাল কিনলাম ১২০ টাকা কেজি দিয়ে। এখানেও ১০ টাকা বেশি। চাল, ডাল, তেল এসব পণ্য প্রতিদিনই লাগে। সবগুলোরই দাম বেশি। গত পরশু চাল কিনলাম ৫০ কেজির বস্তায় আগের চেয়ে ৪৮০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মতো সীমিত আয়ের মানুষের জন্য এ বাড়তি দাম দেওয়া অনেক কষ্টের। অন্য খরচ কমিয়ে এ ব্যয় বহন করতে হয়।
এসআই/এনএফ