লটের ব্যবধানে সার ক্রয়ে সাশ্রয় হচ্ছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা
দুই কোম্পানি থেকে আলাদা আলাদা লটে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার। সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি ও বাংলাদেশের কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) এবং সৌদি আরবের কাছ থেকে সার কেনা হবে। দুই কোম্পানির কাছ থেকে ৬০ হাজার টন সার কিনতে মোট ব্যয় হবে ২১২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, নির্ধারিত প্রস্তাবের বাইরে টেবিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার কেনার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। দুটি প্রস্তাবই কমিটির সভায় অনুমোদিত হয়েছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) বাংলাদেশের কাছ থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। এ সার কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ১০৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
এর আগে, ১২তম কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রস্তাবে সার ক্রয়ের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১০ কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১৫০ টাকা। ১২তম লটের তুলনায় কাফকোর কাছ থেকে সার কিনতে সরকারের সাশ্রয় হবে প্রায় ৫ কোটি টাকা। কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে এ সার কেনা হবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৯তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এই লটে সার কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ১০৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এর আগে ১৮তম লটেও সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানির কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছিল। ১৮তম ওই লটের সার কিনতে সরকারের ব্যয় প্রাক্কলন ছিল ১১৫ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৬ টাকা। ১৮তম লটের তুলনায় ১৯তম লটে ইউরিয়া সার কিনতে সরকারের ব্যয় সাশ্রয় হবে সাড়ে ৮ কোটি টাকার বেশি। বিসিআইসির মাধ্যমে এ সার কেনা হবে।
এসআর/এসএম