২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম
গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতো ২৩০ টাকায়। কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে ব্রয়লার মুরগি। মূল্য বৃদ্ধির এই হারে একদিকে যেমন ক্রেতারা হতাশ তেমনি লোকসানে পড়ছেন খুচরা বিক্রেতারাও।
শুক্রবার (৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর, বাড্ডা ও রামপুরা কাঁচাবাজার এলাকা ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
মাংসের খুচরা বাজারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, সোনালি ৩৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা করে ও খাসির মাংস ১ হাজার ১১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে ক্রেতারা বলছেন, মুরগির বাজারে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। সপ্তাহ শেষ হলেই কেজি প্রতি ২০ টাকা দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ দেখার নেই, কেউ কিছু বলছে না।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন দাম বাড়ার কারণে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের বেচা-কেনা অনেক কমেছে এখন।
শাহাজাদপুর কাঁচাবাজারের ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা মো.মঞ্জু বলেন, ব্রয়লার মুরগির বাজার খুব অস্থির। প্রতি সপ্তাহেই দাম বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে গত ১ মাস ধরে আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে। আগে শুক্রবারে সকালে মুরগির কারণে দোকানে লাইন থাকতো, এখন (শুক্রবার) ঠিকভাবে ৩০০ মুরগিও বিক্রি হয়নি।
রামপুরা কাঁচাবাজারের মুরগির বিক্রেতা মাহমুদুল বলেন, খাবারের দাম, গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ নানা কারণে দাম বাড়ছে বলে দাবি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এখন আমরাও নিরুপায় হয়ে বেশি দামে কিনে এনে বাড়তি দামেই বিক্রি করছি। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও কিন্তু বিক্রি কমেছে।
বাড্ডা কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা রবিন আহমেদ বলেন, আমার বাসায় গত এক মাস ধরে ব্রয়লার মুরগি নেওয়া বন্ধ। দামের কারণে গরু, খাসি কিংবা দেশি মুরগির মাংস তো অনেক আগে থেকেই বাসায় নেওয়া বন্ধ। একটু ব্রয়লার মুরগি আগে নেওয়া যেতো সেটাও এখন বন্ধ। এই দাম নিয়ে আমাদের কিছু বলার নাই।
রমজান মাসে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন রামপুরা বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা বিল্লাল হোসেন।
তিনি বলেন, ব্রয়লার এখন ২৫০ টাকা, দেখব রোজার মাসে ৩০০ টাকা হয়ে গেছে। দাম বাড়ুক সমস্যা নাই, ব্রয়লার মুরগি আর বাসায় নিব না। এভাবে হুটহাট যে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো তদারকি করতে কখনো দেখা যায়নি।
এমএসি/এমজে