রাজস্ব আদায়ে সবচেয়ে কম খরচ বাংলাদেশে
রাজস্ব আদায়ে তুলনামূলক বিচারে সবচেয়ে কম খরচ হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশে শুল্ক-কর বাবদ ১০০ টাকা আদায় করতে খরচ হয় মাত্র ২১ পয়সা। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ৬০ পয়সা, সিঙ্গাপুরে ৭৯, থাইল্যান্ডে ৭১ ও মালয়েশিয়ায় ১ টাকা খরচ হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর অভিজাত হোটেল আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এসব তথ্য জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতিশীলতা আনাসহ নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে টেকসই অর্থনীতি বিনির্মাণে বাংলাদেশ কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মের হাত ধরে জ্ঞান চর্চা এবং পেশাগত উৎকর্ষ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ কাস্টমস দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখবে। কাস্টমস এখন রাজস্ব আহরণ ছাড়াও ট্রেড ফেসিলিশন, ন্যাশনাল সিকিউরিটি, আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনসহ নানাবিধ বিষয় নিয়ে কাজ করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাস্টমস অনেকাংশে আধুনিক ও অটোমেটেড করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। ভবিষ্যৎ কাস্টমসকে স্মার্ট হিসাবে গড়ে তুলতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।এজন্য আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে একটি অটোমেটেড পেপারলেস কাস্টমস সিস্টেম তৈরি করা আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অন্যদিকে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, এখন সময় এসেছে লোকাল ইন্ডাস্ট্রিকে সুরক্ষা দেওয়ার। এলডিসি উত্তরণের পর শিল্প খাতে সুযোগ-সুবিধা আরও কমে যাবে। তাই আমাদের ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমদানি তো বন্ধ করা যাবে না। তবে অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বন্ধ করে লোকাল ইন্ডাস্ট্রিজকে এগিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ জন কর্মকর্তা ও তিন অংশীজনকে সার্টিফিকেট অব মেরিট সম্মাননা দেওয়া হয়। বাংলাদেশসহ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশে আজ (২৬ জানুয়ারি) একযোগে দিবসটি উদযাপন করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন এ দিনটিকে কাস্টমস দিবস হিসেবে ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশও দিবসটি উদযাপন করছে।
আরএম/এসকেডি