চোরাচালান রোধে ৩ বন্দরে বসছে স্ক্যানার, ঢাকা থেকে চলবে নজরদারি
চোরাচালান প্রতিরোধ, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মিথ্যা ঘোষণা প্রতিরোধে অত্যাধুনিক ৬টি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার বসাতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
অত্যাধুনিক স্ক্যানারগুলোর মধ্যে ৪টি চট্টগ্রাম বন্দরে, বেনাপোল পোর্টে ১টি এবং ভোমরা বন্দরে ১টি স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে ঢাকায় বসেই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম প্রত্যক্ষ মনিটর করতে পারবে এনবিআর।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে চীনের নুকটেক কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এনবিআর সদস্য (শুল্ক: অডিট, আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) ড. আব্দুল মান্নান শিকদার ও নিউটেক কোম্পানির প্রতিনিধি এইচ ও ওয়ানি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন : ডিবির ‘ডিপ ফ্রিজে’ বিএম ডিপোর মামলা
এ বিষয়ে এনবিআর উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন স্ক্যানারগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ৪টি, বেনাপোল ১টি এবং ভোমরা বন্দরে ১টি স্থাপন শেষে সেন্ট্রাল ইমেজিং সিস্টেম চালু করা হবে। যার মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকায় বসে তা প্রত্যক্ষ ও মনিটর করতে পারবে। সেন্ট্রাল রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিশনারেট এবং কাস্টমস গোয়েন্দা এই রিয়েলটাইম ইমেজ ব্যবহার করে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় আরও সক্ষম হয়ে উঠবে। যার ফলশ্রুতিতে কন্টেইনারের কায়িক পরীক্ষার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
এনবিআর জানায়, এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কাস্টমসের বিদ্যমান ১০টি স্ক্যানারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক ৬টি নতুন ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার। পূর্বের স্ক্যানারগুলোর মধ্যে ৬টি ছিল ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার যা পুরাতন এবং ৪টি মোবাইল কন্টেইনার স্ক্যানার যেগুলোর পেনিট্রেশন সক্ষমতা ছিল কম। এই প্রেক্ষাপটে নতুন স্ক্যানারগুলোর পেনিট্রেশন সক্ষমতা বেশি, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় এর বহুমুখী ব্যবহার সম্ভব।
আরও পড়ুন : কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমলেও বেড়েছে পণ্য পরিবহন
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, দেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি পরিচালিত হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের মাধ্যমে। সেখানে ৪টি নতুন, ৪টি পুরাতনসহ ৮টি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার, ৪টি মোবাইল স্ক্যানার স্থাপন পরবর্তীতে মোট ১২টি স্ক্যানার দিয়ে সহজেই ১৩টি গেট মনিটর করা সম্ভব হবে। রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন দেশে থেকে কন্টেইনারের স্ক্যানড ইমেজ চাওয়া হয়। এরও একটি সমাধান হতে যাচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি, চোরাচালান প্রতিরোধ, জনস্বাস্থ্যের সংরক্ষণ, দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাসসহ নানা-মাত্রিক ইতিবাচক দিক নিয়ে আগামী ৮ মাসের মধ্যের এর সুফল পাওয়া যাবে।
আরএম/এসকেডি