মূল্যস্ফীতি বেড়েছে
ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩২ শতাংশে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশে, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বুধবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে এ তথ্য প্রকাশ করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সচিব ইয়ামিন চৌধুরী এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিবিএস-এর ডিরেক্টর আবদুল কাদির মিয়া এবং এমএসভিএসবি প্রকল্পের পরিচালক একেএম আশরাফুল হক।
ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, বাজারে জিনিসের দাম বেড়েছে। এজন্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তাছাড়া ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ খাতে ব্যয় বেড়েছে। তাই এই খাতেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খুব সুনির্দিষ্টভাবে আমরা বলতে পারছি না ঠিক কোন কোন কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ে কাজ করি না, ডাটা নিয়ে কাজ করি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এসআর/এইচকে/এমএমজে