আমদানি করা চালে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা
দাম সহনীয় রাখতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল বিদেশ থেকে আমদানির জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রয়োজন অনুসারে আরও অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া সরকারিভাবেও চাল আমদানি করা হচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আমদানির অনুমতি পেয়েছে ৪২৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর আরও ৪৬টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আরও ১ লাখ ৬১ হাজার টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে, আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু বা জারি করা যাবে না, আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করা যাবে না এবং আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত ৪২৭ প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৪ লাখ ৯২ হাজার টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর গত ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় গত ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮২ হাজার টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর আরও কয়েক ধাপে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
• আরও পড়ুন : মরে যাওয়ার চেয়ে বেঁচে থাকা কঠিন
সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রয়োজন অনুসারে আমদানির অনুমতি দেওয়ার এ কার্যক্রম চলবে।
এদিকে, সরকারিভাবেও বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। সরকারিভাবে ১০ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত এক লাখ টন চাল দেশে এসেছে বলে জানা গেছে। ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম থেকে এসব চাল আমদানি করা হচ্ছে।
চাল আমদানির প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখাসহ বিভিন্ন কারণে বেসরকারিভাবে চাল আমদানি অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এজন্য আমদানি শুল্ক কমানোসহ আমদানিকারকদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। চাষিরা আম-আনারসসহ বিভিন্ন ফসলের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। এই কারণে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সরকারিভাবে চাল আমদানি করা হচ্ছে।
• আরও পড়ুন : গরু বলে মানহীন মহিষের মাংস খাওয়ানো হয় হোটেল-রেস্তোরাঁয়
চালে কেউ অস্বাভাবিক মুনাফা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করে দেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের তরফ থেকে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে।
এসএইচআর/এনএফ