তিন মাসে রেকর্ড ৩ লাখ ৩৩ হাজার রিটার্ন দাখিল
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সেবা পেতে আয়কর বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করার ঘোষণায় আশাতীত সাড়া মিলেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই আয়কর রিটার্ন দাখিল তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৩ হাজার করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। যেখানে একই সময়ে গত অর্থবছরে এক লাখ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিল করদাতারা। আর গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিল।
এনবিআর কর্মকর্তাদের ধারণা চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমানে নিবন্ধিত ই-টিআইএন সংখ্যা প্রায় ৭৯ লাখ।
আরও পড়ুন : টাকা বৈধ করতে করদাতাদের অনাগ্রহ
এ বিষয় এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কৌশল প্রণয়ন ও আইনি সংস্কারের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে। করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিআইএন) সংখ্যা ৭৬ লাখে পৌঁছালেও গত অর্থবছর পর্যন্ত রিটার্ন জমা হয় ২৪ লাখের মতো। এ বছর
৪০ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিল শুধু বাধ্যতামূলকই নয়, আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়। এর ফল আসতে শুরু করেছে।
সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি হয়; তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক।
এছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। চলতি অর্থবছর থেকে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে না। সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।
আরএম/এসকেডি