ডিমের হালি এখন ৪০ টাকা, পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কোনো কারণ ছাড়াই ডিমের বাজারে অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি বেড়ে হয়েছিল ১৬০ টাকা। যা এ যাতৎকালের রেকর্ড বলা চলে। তবে সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী ‘প্রয়োজনে ডিম আমদানি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’ এমন ঘোষণার পর বাজারের দৃশ্য অনেকটা পরিবর্তন হতে শুরু করে।
গত কয়েকদিনে বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিমের দাম ডজনপ্রতি ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। অর্থাৎ বর্তমানে ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, আরেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর রায়ের বাজার এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হাঁস এবং দেশি মুরগির ডিম ৭০ টাকা হালি, ফার্মের মুরগির সাদা ও লাল ডিম ৪০ টাকা হালি ধরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে অপরিবর্তিত থাকা পেঁয়াজের দামের মধ্যে দেশি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা কেজি এবং ইন্ডিয়ান ও হাইব্রিড পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা কেজি।
রায়ের বাজারের ডিম ব্যবসায়ী ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদের আগে হঠাৎই ডিমের দাম বেড়েছিল। তখন মূলত পোল্ট্রি খাবারের দাম বাড়ার কারণে বাজারে এর প্রভাব পড়ে। এরপরে ডিমের দাম আবারও কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলে এ মাসের শুরুতে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। তখন পোল্ট্রি খাদ্যের দামও বেড়ে যায়। যার ফলে পরিবহন এবং খাদ্যের দামের জন্য আবারও ডিমের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। অবশেষে দু-তিন দিন ধরে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মূলত সাধারণ ব্যবসায়ী। নিয়মিত ডিম কিনে বিক্রি করি। আমরা যে দামে ডিম কিনি তার চেয়ে দুই এক টাকা লাভে বিক্রি করি এটা সত্য। কিন্তু ডিম মজুত করে দাম বাড়ানোর কাজ আমাদের না। এখন সরকারের চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে ডিমের দাম হয়তো কমিয়েছে তারা।
অন্যদিকে পেঁয়াজের দোকানি জলিল বলেন, রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে ঈদের পর থেকে এই দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারের পেঁয়াজের দাম কম, বেশি হয়নি। কিন্তু পাইকারি বাজারে নিয়মিত দুই তিন টাকা আপ-ডাউন করে।
এমএইচএন/এসএম