সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লার ঋণের তথ্য তলব
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লার ঋণের বিবরণ দিতে ব্যাংকগুলোকে বলেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউ-এর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা আবদুল কাদির মোল্লা এবং শরীফ হোসেন নামে একজনের বিষয়ে ব্যাংকগুলোর কাছে তথ্য চেয়েছি।
বিএফআইইউ-এর পাঠানো চিঠিতে খাতভিত্তিক ব্যাংক ঋণ,আমদানি, রপ্তানি এবং করোনা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন সময় নেওয়া প্রণোদনা, বিভিন্ন ঋণ অনুমোদনের তারিখ, রেফারেন্স এবং আবদুল কাদির মোল্লার ঋণ পুনর্নির্ধারণের প্রতিবেদন সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
• আরও পড়ুন : ধার করে ব্যবসা শুরু, সা’দ মুসা গ্রুপের এখন ২৭ প্রতিষ্ঠান
এ বিষয় জানতে চাইলে আব্দুল কাদির মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএফআইইউ যে তথ্য চেয়েছে এটা তাদের রুটিন ওয়ার্ক। এসব তথ্য তারা যে কারও কাছে চাইতে পারে। এতে সমস্যার কিছু নেই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কিছু রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণের অপব্যবহার করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত তারিখে ঋণদাতাদের অর্থ প্রদানে ব্যর্থতার কারণে তা মেয়াদি ঋণে পরিণত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আব্দুল কাদির মোল্লার থার্ম্যাক্স মেলাঞ্জ স্পিনিং মিলস এবং থার্ম্যাক্স নিট ইয়ার্নের কথা উঠে এসেছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ দুটি কোম্পানিকে দেওয়া সোনালী ব্যাংকের ঋণ প্রায় ২৪৬ কোটি টাকা।
ঋণগ্রহীতাদের ইডিএফ থেকে ন্যূনতম খরচে বৈদেশিক মুদ্রা ঋণ দেওয়া হয়।
• আরও পড়ুন : ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় উল্লম্ফন
ইডিএফের নিয়ম অনুযায়ী, রপ্তানি আয় পাওয়ার পর ঋণগ্রহীতারা ইডিএফ ঋণ পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ২৭০ দিন সময় পাবেন। যদি তারা এই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হন, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রক্ষিত ঋণদাতার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা কেটে নেবে এবং ঋণদাতা ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে স্থানীয় মুদ্রায় বাধ্যতামূলক ঋণ তৈরি করবে।
নিয়ম অনুযায়ী ঋণগ্রহীতারা ইডিএফ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ পেলেও ওই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তা বাধ্যতামূলকভাবে স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করা হয়।
যখন একজন ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তখন এটি ইঙ্গিত দেয় যে ঋণগ্রহীতা ইডিএফ ঋণের শর্ত অনুযায়ী রপ্তানি আয় ফেরত দেননি।
এসআই/এনএফ